রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর

নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরসংগৃহীত

বসন্তের পিছুটান ছাড়িয়ে গ্রীষ্ম আসার উন্মাদনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তারই সঙ্গে রমজান মাসের শেষ দিকে উৎসবমুখর পরিবেশ যেন আহ্লাদে আটখানা। এই আনন্দকে আরেকটু দীর্ঘায়িত করতে ৮ এপ্রিল নোয়াখালী বন্ধুসভা রাত সাড়ে ১০টায় অনলাইন গুগল মিটে আয়োজন করে বছরের ১২তম পাঠচক্র ও আলোচনা সভার।

পাঠচক্রের বিষয় ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহীন। পরিচয়পর্বের মাধ্যমে আলোচনার সূত্রপাত হয়।

‘হৈমন্তী’ গল্পে গল্পকথক অপু গল্পের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হৈমন্তী। তাকে ঘিরেই শুরু থেকে শেষ গল্পের প্লট নির্মিত। হৈমন্তী, তার বাবা, তার স্বামী, তার শ্বশুরালয়, শ্বশুরালয়ের যাবতীয় ভালো-মন্দ তাকে ঘিরেই আবর্তিত। গল্পের বিস্তৃত পরিসরে পাঠক খুঁজে পান তৎকালীন সমাজের একটি বিকৃত চেহারা। মেয়ে মানুষের কুড়িতে বুড়ি হওয়ার মতবাদটি অযৌক্তিক হওয়ার পরও হৈমন্তী গল্পে তা লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া অমানবিক যৌতুকপ্রথা তো ছিল আগুনে ঘি ঢালার মতো। একজন স্বামীর তার স্ত্রীর প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা ছিল উল্লেখযোগ্য। লেখক গল্পটিতে ওই সমাজের এমন কিছু দুষ্টক্ষত চিহ্নিত করেন, যার অন্যায় অনুশীলনের নির্মম শিকার হৈমন্তী।

নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর

সহসভাপতি জ্যানিসা আফরোজ বলেন, ‘তৎকালীন সময় শেষ হওয়ার এত বছর পরও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরিভাবে বদলে গেছে বলে মনে হয় না। বর্তমান সমাজেও হৈমন্তীর মতো নিষ্কলঙ্ক নারীরা অন্যায় ও নির্মমতার বলি হয়ে আসছেন।’

তাঁর কথায় সমর্থন জানান উপদেষ্টা সুমন নুর। এ ছাড়া পাঠচক্রে উপস্থিত থেকে গল্পটি সম্পর্কে তাঁদের মনের ভাব প্রকাশ করেন সভাপতি আসিফ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, দপ্তর সম্পাদক ধ্রুব ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা আনিকা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদা সুলতানা, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক আরাফাত শিহাব, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক নুসরাত জাহান, ম্যাগাজিন সম্পাদক নাফিস আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরী, ফাতেমা আফরা, বন্ধু তাসমিয়া, নাঈমসহ আরও অনেকে।

কার্যনির্বাহী সদস্য, নোয়াখালী বন্ধুসভা