বাংলা বানানের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে বিশেষ আয়োজন

আয়োজন শেষে নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

রাস্তায় বের হলে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ডে চোখ যায় না, এমন কোনো দিন খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটু ভালোমতো চোখ পড়তেই দেখা মেলে বাংলা বানানের করুণ অবস্থা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে বাংলা বানানের ভুলের বাহার আরও প্রকট।

বাংলা বানানের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে ৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নোয়াখালী বন্ধুসভা আয়েজন করে একটি আড্ডার। সভার শুরুতে বন্ধুরা নিজ নিজ পরিচয়ের পর বাংলা বানানের বিভিন্ন বিভ্রাট নিয়ে আলোচনা করেন। অনেক সময় চাইলেও আমরা এটি এড়িয়ে যেতে পারি না। প্রাত্যহিক জীবনে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় অনেক ভুল করি। তাই এ মাসের নিয়মিত বৈঠকে বন্ধুদের আলোচ্য বিষয় ছিল এটি।

বাংলা বানানের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ছবি: বন্ধুসভা

সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ বলেন, ‘বন্ধুসভার বন্ধুরা অন্যদের থেকে আলাদা, স্মার্ট। এই স্মার্টনেস যেন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট বা বার্তা প্রেরণে শুদ্ধ বানান ব্যবহারের মাধ্যমেও দৃষ্টিগোচর হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।’ আলোচনার একপর্যায়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত খোশগল্প ‘বানান বিভ্রাট’ ও ‘বাংলা বানান শিখতে হবে যত্ন নিয়ে’ শিরোনামের দুটি ফিচার পাঠ করা হয়।

শেষে নোয়াখালী বন্ধুসভার নিয়মিত সভার অংশ হিসেবে ‘কল্পনার জগতে’ অংশে সবাইকে একটি কাল্পনিক প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নটি ছিল, হুট করে একদিন দেখলেন কেউই আপনার সঙ্গে কথা বলছে না। বাসায়, রাস্তায়, ক্যাম্পাসে—কেউই না! যেন আপনি অদৃশ্য। কী করবেন তখন? প্রশ্নের উত্তরে বন্ধুরাও কিছুটা কাল্পনিক চরিত্রে নিজেদের বসিয়ে নেন। কেউ কেউ বলেন, তাঁরা এই অদৃশ্যতা উপভোগ করবেন নিজের মতো, নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করে বেড়াবেন। কেউ বলেন, মানুষদের কিছুটা বিরক্ত করে তাঁরা আনন্দ উপভোগ করবেন, কেউ আবার দেশ-বিদেশ ঘুরতে চাইলেন বিনা খরচে, কেউ তাদের দেখবে না, টাকা চাইবে না, তাই বিনা খরচে যা খুশি তা–ই করা যায়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সুমন নুর, সহসভাপতি জাহিদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, অর্থ সম্পাদক উম্মে ফারহিন, বন্ধু নাহিদা ইতু, সানি তামজিদ, আরাফাত শিহাব, নাফিস আহমেদ, আবিদ উল হক, শিহাব উদ্দিন, ওমর প্রমুখ।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা