৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনেন এই অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মোমবাতি প্রজ্বালন ও স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা।
শনিবার সন্ধ্যা নেমে আসতেই নোয়াখালী জেলা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে তারিখ নির্দেশ করা ‘৭’ আকৃতির ওপর মোমবাতি প্রজ্বালন করেন বন্ধুরা। তারপর সম্মিলিত কণ্ঠে গীতিকার মোহিনী চৌধুরীর ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানটি পরিবেশন করেন।
পরিবেশনা শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন সভাপতি আসিফ আহমেদ। উপদেষ্টা সুমন নূর বলেন, ‘বাঙালি জাতি যত দিন থাকবে, বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, ততকাল-ই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা চির অম্লান থাকবে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যতবারই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, ততবারই মুক্তিকামী–স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা তা প্রতিহত করেছে। সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু অপশক্তি বাঙালিদের মধ্যে যে বিচ্ছেদ, মতবিরোধ সৃষ্টি করতে চাইছে, তা আমাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। তবেই এই বিজয় আমাদের থাকবে।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণা করেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজের রহমান। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়াই করা বরাবরই এক অন্য রকম অনুভূতি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গেলে শুরুতে স্মরণ করতে হয় বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর প্রতীকসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৩০ লক্ষ শহীদদের। আমিও যুদ্ধকালীন আমাদের নিজ এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করি। এখনো যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ জানায়, আমি সেই যুদ্ধের স্পৃহা অনুভব করি। ভবিষ্যতে যদি কখনো আবার অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয় আমাকেও জানিয়ো। আমিও অংশ নেব তোমাদের সঙ্গে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, অর্থ সম্পাদক মাজরিহাতুন স্বর্ণা, প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ, বইমেলা সম্পাদক গোলাম শাহরিয়ার, কার্যনির্বাহী সদস্য নয়ন চন্দ্র কুরী, বন্ধু ইমতিয়াজ হোসেন, জিহানসহ আরও অনেকে।