সাত বছর বয়সী শিশু হাবিবা বাবা হারিয়েছেন তিন বছর আগে। অন্যের বাসায় কাজ করে মা সংসার চালান। ঈদে মেয়ের জন্য নতুন জামা কেনা মায়ের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো। ২৮ মার্চ হাবিবাকে কোলে নিয়ে মা এলেন ভৈরব আইডিয়াল স্কুল চত্বরে। হাতে তুলে দেওয়া হলো নতুন জামা। নতুন জামা পেয়ে হাবিবা তেমন কিছু বুঝতে না পারলেও মায়ের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ।
হাবিবার মতো এবার ঈদ উপলক্ষে ভৈরব বন্ধুসভা আড়াই শতাধিক শিশু-কিশোরের হাতে নতুন জামা তুলে দেয়। একই সঙ্গে ২১টি পরিবারকে নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হয়। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে হাবিবার মা রেহেনা বেগম বলেন, ‘হাবিবার বাবা মারা যাওয়ার তিন বছর পর এবার ঈদে মেয়ে আমার নতুন জামা পরব।’
বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা সুমন মোল্লা, ওয়াহিদা বিনতে আমিন, লুবনা হক, সুমাইয়া হামিদ, সভাপতি জান্নাতুল মিশু, সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা। ভৈরব বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ বাস্তবায়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ছিলেন নাবিল রহমান ও সদস্যসচিব ছিলেন নূরাইন হোসাইন।
অনুভূতি প্রকাশ করে বন্ধু মহিমা মেধা বলেন, ‘রঙিন জামা কর্মসূচি আমার পছন্দের আয়োজনের মধ্যে অন্যতম। এ কর্মসূচির প্রতিটি ধাপে মানবিকতার স্পর্শ পেয়েছি। দারুণ ভালো লাগার মুহূর্তের দেখা পেয়েছি।’
সভাপতি জান্নাতুল মিশু ও সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন বলেন, ‘সব পরিশ্রম ও কষ্ট সার্থক হয়ে গেছে তখন, যখন জামা পাওয়ার পর শিশু–কিশোরদের মুখে হাসি দেখতে পেয়েছি।’
কেনাকাটায় পূর্ণ সময় দিয়েছেন ভৈরব বন্ধুসভার কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা ও সহসভাপতি আফিসা আলী। তাঁরা বলেন, ‘নানা প্রয়োজনে অনেক কেনাকাটা করতে হয়। তবে সহমর্মিতার ঈদ কর্মসূচির কেনাকাটায় অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। এখন কেবল পরের বছরের এমন সময়ের দেখা পাওয়ার অপেক্ষা।’
সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা