মাঠে লড়াই, হৃদয়ে বন্ধন, মাদকমুক্ত থাকুক জীবন

শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে নোয়াখালী বন্ধুসভার প্রীতি ক্রিকেট সিরিজছবি: বন্ধুসভা

‘মাঠে লড়াই, হৃদয়ে বন্ধন, মাদকমুক্ত থাকুক জীবন’ স্লোগানে দুই ম্যাচের প্রীতি ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ৭ ফেব্রুয়ারি জেলার শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। দুটি দলে ভাগ হয়ে বন্ধুসভার বন্ধুরা এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন।

দল দুটি হলো—উপদেষ্টা সুমন নূরের নেতৃত্বে বন্ধুসভা ফাইটার্স একাদশ ও উপদেষ্টা নিলয় মিলনের নেতৃত্বে বন্ধুসভা চ্যালেঞ্জার্স একাদশ। আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্রীড়া শিক্ষক হৃদয় আহমেদ ও বন্ধু আজমাইন ধ্রুব।

খেলায় দুই দলই অসাধারণ ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং প্রদর্শন করে। তবে জয়-পরাজয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বন্ধুত্বের জয়গান। তাই ম্যাচ শেষে দুই দলই বিজয়ের ট্রফি হাতে নিয়ে মাঠ ছাড়ে, যা সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

অতিথি হিসেবে ছিলেন উপদেষ্টা বাসব সরকার, অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম মাসুদ ও মাহফুজের রহমান। বাসব সরকার বলেন, ‘এই আয়োজন শুধু একটি খেলা নয়, এটি বন্ধুত্ব ও সুস্থ সমাজ গঠনের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’

অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম মাসুদ বলেন, ‘বন্ধুসভার তরুণদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি তাঁদের মধ্যে শৃঙ্খলা, দলীয় চেতনা ও সম্প্রীতি বাড়াবে।’

শিক্ষক মাহফুজের রহমান বলেন, ‘এমন একটি আনন্দঘন আয়োজনের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। বন্ধুসভার বন্ধুদের সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব আমাদেরও প্রাণবন্ত করে। তাঁদের ভালো কাজগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। ভবিষ্যতেও বন্ধুসভার সঙ্গে থাকব।’

ম্যাচের একটি দৃশ্য
ছবি: বন্ধুসভা

সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন রাতুল বলেন, ‘বন্ধুসভা শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি আমাদের ভালোবাসার জায়গা। আজকের এই আয়োজন সেই ভালোবাসাকে আরও দৃঢ় করেছে।’

সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও বন্ধুসভার বন্ধন কখনো ভাঙার নয়, বরং সময়ের সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে।’

সাবেক সভাপতি মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘আজকের খেলাটি একটি মিলনমেলা। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে করা উচিত।’

ম্যাচ সেরা হয়েছেন উপদেষ্টা নিলয় মিলন ও বন্ধু আরিফুর রহমান। সিরিজ সেরা হয়েছেন কার্যনির্বাহী সদস্য আলফাজ হোসেন। বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।

সভাপতি, নোয়াখালী বন্ধুসভা