‘বাবা আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তিনি আমাদের প্রথম শিক্ষক, পথপ্রদর্শক ও পরম বন্ধু। বাবার ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ও অফুরান। বাবারা সব সময় সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার চেষ্টা করেন। বাবার ভালোবাসা অনেকটা বটগাছের মতো, যা সব সময় সন্তানদের ছায়া দেয়। সন্তানের জন্য বাবা সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকেন। স্বপ্নপূরণ ও অনুপ্রেরণার আরেক নাম বাবা।’
১৫ জুন বিশ্ব বাবা দিবসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা আয়োজন করে অনলাইন আড্ডার। যেখানে বন্ধুরা তাঁদের বাবাকে নিয়ে অনুভূতি শেয়ার করেন।
সাধারণ সম্পাদক মাসরুফা খাতুন বলেন, ‘বাবা আমার কাছে ভালোবাসার আরেক নাম। বাবাকে দেখেছি তিনি কতটা কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন। নিজের শত কষ্ট লুকিয়ে রেখে আমাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিউল হাসান বলেন, ‘বাবা আমার কাছে ছায়ার মতো। তিনি কখনো আমাদের কষ্ট পেতে দেননি। সর্বদা আমাদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের সব ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছেন।’
কার্যনির্বাহী সদস্য সিফা বিনতে হাবিব বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে যা–ই বলি না কেন, অনেক কম হবে। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি যে মানুষটিকে বিশ্বাস করি, ভরসা করি, তিনি আমার বাবা। বাবা আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। প্রতিদিনের হাজারো গল্প বাবার সঙ্গে ভাগাভাগি করি।’
বাবা হারানো কার্যনির্বাহী সদস্য শাকিল হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, বাবা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করেছেন। অভাব–অনটনের মধ্যে যেখানে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, আবার আমার পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, সে সময় শত দুঃখ, কষ্ট ও বাধা অতিক্রম করে বাবা ঠিকই আমার পড়ালেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমাদের মুখে সব সময় হাসি ফুটিয়েছেন।’
বন্ধু রামিজ আহমেদ বলেন, ‘বাবা আমার কাছে বন্ধুর মতোই। প্রায়ই বাবার সঙ্গে গল্প, আড্ডা ও খুনসুটিতে মেতে উঠি। কোনো ইচ্ছা হলে সবার আগে বাবাকে বলি এবং তিনি সেটি পূরণ করেন। আমি গর্বিত এমন একজন বাবা পেয়ে।’
এ সময় বাবাকে নিয়ে গজল পরিবেশন করেন পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান।
আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, বন্ধু মুশফিক মাহাদীসহ অন্যরা।
সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা