মানুষসহ পৃথিবীর সব প্রাণীর জীবন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বৃক্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত। বৃক্ষই এই ধরিত্রীকে জীববাসের অনুকূল করেছে, প্রাণীর অপরিহার্য খাদ্যের সংস্থান করেছে এবং সর্বোপরি বাস্তুতান্ত্রিক ও আবহাওয়াগত ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। যেকোনো দেশের জন্য মূল ভূখণ্ডের কমপক্ষে শতকরা ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের মাত্র ১৬ শতাংশ। এমন অবস্থাতেও আমরা অহরহ নির্বিচার বৃক্ষরাজি নিধন করে চলেছি। ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ আজ দূষণের শিকারে পরিণত হয়েছে। পরিবর্তিত হচ্ছে জলবায়ু।
দেশের পরিবেশ রক্ষার্থে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ করে ড্যাফোডিল বন্ধুসভা। ‘আমার মাটি আমার দায়, গাছ রোপণে বাঁচা যায়’ প্রতিপাদ্যে গত ২৭ আগস্ট থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে চলে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
প্রথম দিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল বন্ধুসভার কনভেনর আনোয়ার হাবিব কাজল ও উপদেষ্টা মাহবুব পারভেজ। এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আরও কর্মকর্তা ও বন্ধুসভার সভাপতি সাব্বির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাবিরা সুলতানাসহ অন্য বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইসহাক মিয়াজি, শিক্ষক বিনয় বর্মন ও দিলজেব কবির উপস্থিত হয়ে বৃক্ষরোপণে অংশ নেন।
বন্ধুরা আমগাছ, জামগাছ, কাঁঠালগাছ, তালগাছ, নিমগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের প্রায় ২০০০ চারা রোপণ করেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের আশপাশের সব এলাকা ও ক্যাম্পাসের ভেতরেও চারা গাছ রোপণ করা হয়। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটির অন্যান্য ক্লাবকেও কিছু গাছ উপহার দেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ২৯ আগস্ট বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক, নির্বাহী সভাপতি মৌসুমী মৌ এবং ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের কর্মকর্তা দ্বিপ মজুমদার ও মুস্তফা রাফিদ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। তাঁরা বন্ধুদের সঙ্গে গাছ লাগানো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বন্ধুদের উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ দেখে জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, ‘ড্যাফোডিল বন্ধুসভার বন্ধুরা অনেক পরিশ্রমী। যেকোনো ইভেন্টে তাঁদের এখানে এলে তা সহজেই বোঝা যায়।’
ড্যাফোডিল বন্ধুসভার উপদেষ্টা মাহবুব পারভেজ বলেন, ‘তোমাদের এই গাছ লাগানো কর্মসূচি শেষ হলেও এই ফল থেকে যাবে আজীবন।’
সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষরোপণ কর্মযজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল বন্ধুসভার সভাপতি সাব্বির আহমেদ, সহসভাপতি আদিবা জামান, সাধারণ সম্পাদক সাবিরা সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক নাবিল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক নাজমুল হাসান, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক অনিক ভূষণ সাহা, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক অদিত আল নাফিউ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাকিয়া লিমা, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক ঈশিতা মন্ডল, কার্যনির্বাহী সদস্য মুসাভভির সাকির, রাইয়ান শিকদার, তানহা তাসনিমসহ অন্য বন্ধুরা।
কার্যনির্বাহী সদস্য, ড্যাফোডিল বন্ধুসভা