কুড়িগ্রামের সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব করেছে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা। বন্ধুরা নিজেদের বাড়িতে বানানো নানা বাহারি স্বাদের পিঠা নিয়ে আসেন। পরে সেগুলো ৭০ জন শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ৩ ডিসেম্বর বিকেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন ধানে, নতুন চালের পিঠা উৎসবে বন্ধুরা ভাপাপিঠা, পুলিপিঠা, পাটিসাপটা, চিতই, তেলের পিঠা, বিস্কুট পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি পিঠাসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পিঠা নিয়ে হাজির হন। বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবারের মাঠে হয় এ উৎসব।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শিশু পরিবারের এসব শিশুর জন্য সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতে পারি না। শীতকাল আসলেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আসর বসলেও এসব শিশু বঞ্চিত থাকে। এ সময়ে হয়তো তাদের পরিবারের কথা মনে পড়ে। আজ বন্ধুসভার বন্ধুরা শিশুদের পরিবারের ভূমিকা পালন করল। বন্ধুসভার এসব সামাজিক কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুরাইয়া শিমু বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকি। এবারের উৎসবটা শিশু পরিবারে করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে এখানকার ছোট শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরা সার্থক।’
উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম হাবিবুর রহমান, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শফি খান, বন্ধুসভার উপদেষ্টা মোখলেছুর রহমান, রুকুনুজ্জামান রুকু, আসিফ ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক ভুবন কুমার শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক আজিজুল হক, প্রচার সম্পাদক বিভাস বিশ্বাস, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক মিজান বিনতে জেবা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক তুলসী কুমার, বন্ধু রাজিয়া সুলতানাসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা