পাঠচক্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উৎসব

চট্টগ্রাম বন্ধুসভা কক্ষে বড় পর্দায় চলচ্চিত্র দেখতে জড়ো হয়েছেন বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ বর্তমানে অনেক তরুণের কাছে গল্পের মতো। স্বর্ণযুগের বাংলা চলচ্চিত্র যেমন অনেক তরুণের অদেখা, তেমনি পিডিএফের কারণে বদলেছে তরুণদের মুদ্রিত বই পড়ার সংস্কৃতি। এই দুই অভ্যাস তরুণদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা নিয়েছে সাত মাসব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও ছয় মাসব্যাপী সিরিজ পাঠচক্রের উদ্যোগ।

‘চলচ্চিত্রে নিজ ভাষা, নিজ সংস্কৃতি’ স্লোগান ধারণ করে চলছে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার চলচ্চিত্র উৎসব। ৮ জুলাই বিকেলে উৎসবের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রটি বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়। এর আগে গত ২৩ জুন বিকেলে শুরু হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সেদিন প্রদর্শিত হয় ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সারেং বৌ। পর্যায়ক্রমে বছরজুড়ে আরও ১৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চট্টগ্রাম বন্ধুসভার নিয়মিত আয়োজন। তবে এবারের আয়োজন ভিন্নতা পেয়েছে কালজয়ী সব বাংলা চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর মাধ্যমে, বলেন সহসভাপতি শাওন রায়। সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম তানভীর বলেন, মহানায়ক, বেহুলা, বসুন্ধরা, লালসালুর মতো পুরোনো দিনের কালজয়ী সব চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এই উৎসবে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি বন্ধুদের জন্য রয়েছে রিভিউ লেখার প্রতিযোগিতাও।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মতো প্রতি মাসে নানা বইয়ের ওপর পাঠচক্রের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ‘হিরণ্ময় কথকতা’ শিরোনামে সিরিজ পাঠচক্রের আয়োজন করা হচ্ছে, বলেন সহসভাপতি নুরুজ্জামান খান। ২৮ জুলাই শুরু হবে এ আয়োজন। এ প্রসঙ্গে সভাপতি মিনহাজ হোসাইন বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিক বলতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখকে বুঝি। পরবর্তীকালের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ, সমরেশ মজুমদারকে পাঠকেরা প্রাণভরে গ্রহণ করেছেন। ৫০-৭০ দশক থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংগ্রাম, স্বাধীনতা ও শিক্ষিত মধ্যবিত্তের জাগরণের সময় কিছু কিছু লেখক উপন্যাসকে নতুন ধারা ও নতুন ভাষা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্ধুসভা দায়িত্ববোধ থেকে পাঠচক্রের মাধ্যমে তাঁদের স্মরণ করতে যাচ্ছে।’

উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা