‘বৃহত্তর দিনাজপুরে বঙ্গবন্ধু’ বই নিয়ে পাঠের আসর

দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

শত ব্যস্ততা ও অশান্তির মধ্যেও বই আমাদের দেয় শান্তির ছোঁয়া। বইপাঠের অভ্যাস গড়ে তোলা সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। বন্ধুদের মধ্যে এ অভ্যাস গড়ে তুলতে নিয়মিত পাঠচক্রের আসর করে দিনাজপুর বন্ধুসভা। ২১ মে বিকেলে প্রথম আলোর দিনাজপুর অফিসে অনুষ্ঠিত এবারের পাঠচক্রের বিষয় ছিল উত্তরবঙ্গের সাহিত্যিক আলী ছায়েদের লেখা বই ‘বৃহত্তর দিনাজপুরে বঙ্গবন্ধু’।

কিছু কিছু মানুষ বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের দিয়েছেন সম্মান, গৌরব আর আত্মমর্যাদা। বাঙালি জাতির ইতিহাসের পথ পারি দিতে সাহায্য করেছেন, বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে অসামান্য অবদান রেখেছেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সবার ওপরের দিকে যে মানুষটির নাম, তিনি আমাদের বাঙালি জাতির মুক্তির দূত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এনে সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন জনমত গঠন করতে, দক্ষ আত্মত্যাগী কর্মী বাহিনী গঠন করতে। এ জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমগ্র বাংলার মাটিতে ছুটে বেড়িয়েছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব মানুষকে মুগ্ধ করে। তাঁর সম্মোহনী বক্তৃতায় মানুষ উজ্জীবিত হতো। বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময়ে বৃহত্তর দিনাজপুরে এসেছেন। তিনি দিনাজপুরে প্রথম আসেন ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে। এরপর একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি অসংখ্যবার দিনাজপুরে এসেছেন এবং জনমত গঠন করেছেন। দিনাজপুরের নানা প্রান্তরে বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য স্মৃতি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সংশ্লিষ্ট নানা দিক।

বইটি আলোচনা করতে গিয়ে দিনাজপুর বন্ধুসভার সহসভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনপ্রবাহ লক্ষ করলে দেখতে পাই, তিনি সারা জীবন ছিলেন অবিচল সত্যের কান্ডারি, মুক্তির দূত। তিনি যেখানে অন্যায় দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। আমাদের তাঁর আদর্শে আদর্শিত হয়ে জীবন গড়তে হবে। জীবনের সব বাধা উপেক্ষা করে আমাদের অসাম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা