বর্তমান সময়ের একটি আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। শহর থেকে গ্রাম—প্রতিটি জায়গায় সবাই এটি নিয়ে শঙ্কিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন গুজব এই শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে, কৃষক ফসলের জমিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উপকূলীয় বন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহযোগিতায় ছিল নোয়াখালী বন্ধুসভা।
১ জুলাই অনুষ্ঠিত এই সভায় রাসেলস ভাইপার সাপের সঠিক তথ্য সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট, বন অধিদপ্তর, ঢাকার পরিচালক ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার নিয়ে বিভিন্ন গুজবের কারণে যেকোনো সাপকে দেখেই এখন রাসেলস ভাইপার ভেবে মেরে ফেলছে মানুষ। এর কারণে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই রাসেলস ভাইপার সম্পর্কে নিজে সঠিক তথ্য জেনে অন্যদের সেটার ব্যাপারে অবহিত করা উচিত।’ তিনি রাসেলস ভাইপার সাপকে দেখলে না মেরে স্নেক রেসকিউ টিমের কাছে হস্তান্তর করতে আহ্বান জানান।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মো. ফয়সাল বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম আছে। রাসেলস ভাইপার দ্বারা আক্রান্ত হলে তথাকথিত ওঝা বা গ্রাম্য ডাক্তারের সম্মুখীন না হয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিত। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়, পুলিশ সুপার প্রতিনিধি সারওয়ার আলম, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন সোহাগ এবং নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন গণ্য মান্য ব্যক্তিরা। বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদা ইতু, প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, বন্ধু মালিহা তাসনিমসহ অন্যান্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা