আলাওলের পদ্মাবতী: প্রেম, বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কাব্য

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউসিতে শাবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য। এটি মালিক মুহাম্মদ জায়সীর ‘পদ্মাবত’ কাব্যের অনুবাদ হলেও লেখক গ্রন্থে নিজস্ব কাব্যিক মাধুর্য ও নৈতিক শিক্ষা যুক্ত করেছেন।

মূল কাহিনিতে দেখা যায়, চিতোরের রাজা রত্নসেন পদ্মাবতীর অপরূপ সৌন্দর্যের কথা শোনেন এবং তাঁকে পেতে সমুদ্রযাত্রা করে সিংহল দ্বীপে পৌঁছান। সেখানে তিনি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে পদ্মাবতীর স্বামী হিসেবে গ্রহণযোগ্য হন এবং তাঁকে নিয়ে চিতোরে ফিরে আসেন।

কিন্তু চিতোরের এক ব্রাহ্মণ রাঘব চেতন রাজা রত্নসেনের কাছে অপমানিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির কাছে যান। তিনি সুলতানকে পদ্মাবতীর সৌন্দর্যের কথা বলে প্রলুব্ধ করেন। ফলে আলাউদ্দিন চিতোর আক্রমণ করেন।

এই আক্রমণের ফলে রত্নসেন বন্দী হন। পরে মুক্ত হলেও পুনরায় চিতোরে আসার পথে প্রতিদ্বন্দ্বীর হাতে নিহত হন। স্বামীর মৃত্যুর পর পদ্মাবতী সতীত্ব রক্ষার জন্য অগ্নিসমাধি গ্রহণ করেন।

এই কাহিনির মাধ্যমে আলাওল দেখাতে চেয়েছেন যে সত্যিকার প্রেমে আছে আত্মত্যাগ, বিশ্বস্ততা ও সতীত্বের মহিমা। একই সঙ্গে এতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ, বীরত্ব এবং মধ্যযুগীয় সমাজের ধর্ম-নৈতিক মূল্যবোধও প্রকাশ পেয়েছে। কাব্যে প্রেম, বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও বেদনার মহিমা গাথা হয়েছে।

২৪ আগস্ট আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে শাবিপ্রবি বন্ধুসভা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউসিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্র সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক সাবিনা আক্তার।