পাঠচক্র বন্ধুসভায় যুক্ত হতে আগ্রহ বাড়িয়েছে

ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুদের গল্প শোনার আয়োজন বন্ধু কথনের ২৩তম পর্বছবি: নাহিদ হোসাইন

বন্ধুসভায় যুক্ত হই ২০১৮ সালে। আমার প্রথম আয়োজন ছিল পাঠচক্র। নিবন্ধন ফরম পূরণ করার পর মোবাইলে পাঠচক্রের আমন্ত্রণের মেসেজ পাই আমরা তিন বন্ধু। পাঠের আসরে বই হাতে একজন আলোচনা করছেন, শ্রোতারা মনোযোগসহকারে শুনছেন—এমন আয়োজন আগে দেখা হয়নি। বই নিয়ে কত সুন্দর আয়োজন হতে পারে! পাঠচক্রের প্রতি ভালোলাগা থেকেই ভৈরব বন্ধুসভায় নিয়মিত হই।

গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুদের গল্প শোনার আয়োজন বন্ধু কথনের ২৩তম পর্বে কথাগুলো বলেন বন্ধু রিফাত হোসেন। এ পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রিয়াংকা। আরও যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং অনলাইনে লিথুনিয়া থেকে যুক্ত হন বন্ধু শাহরিয়ার ইবাদ।

লিথুনিয়ার ভিলনিয়াস ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে ব্যাচেলর ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে পড়াশোনা করছেন ইবাদ। তিনি জানান, বন্ধুসভায় বই পাঠের আসর তাঁকে তৈরি করেছে। ইউনিভার্সিটিতে প্রেজেন্টেশনসহ নানা ইভেন্ট খুব সহজেই করতে পারছে। এই জায়গায় নিজেকে তৈরি করার পেছনে বন্ধুসভার অবদানই বেশি বলে তিনি মনে করেন।

মাজহারুল ইসলাম মঞ্চ তৈরি ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে বেশ পারদর্শী। বন্ধুসভায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ তৈরি হয় বন্ধুসভার মানবিক এবং সামাজিক কাজ থেকে। রঙিন জামা ও বৃক্ষরোপণ—দুটি আয়োজন তাঁকে খুব টানে। একার পক্ষে এমন সামাজিক আয়োজন করা সম্ভব নয়, তাই তিনি বন্ধুসভাকে সংগঠন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

আলোচনার ফাঁকে বন্ধুরা স্মৃতিচারণা করেন বন্ধুসভার ভালোলাগার দিনগুলো। কথা হয় বিভিন্ন আয়োজন নিয়ে। ইবাদ শোনান ‘কেন মেঘ’ গানটি। সমাপনী আলোচনায় প্রিয়াংকা বলেন, ‘বন্ধুসভা নিয়মিত পাঠচক্রের মাধ্যমে বই পড়তে উৎসাহ দিচ্ছে। বই পড়ুয়া মানুষ তৈরি করছে। যাঁরা বই পড়েন, তাঁরা মন্দ কাজ করতে পারেন না।’

আয়োজনটি ভৈরব বন্ধুসভার ফেসবুকে পেজে লাইভ সম্প্রচারিত হয়। লাইভ সমন্বয় করেন বন্ধু নাহিদ হোসাইন।

বন্ধু, ভৈরব বন্ধুসভা