বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন আমাদের প্রেরণাশক্তি। তাঁদের গান, সাহিত্য ও কর্মচেতনা আমাদেরকে উজ্জীবিত করে প্রতিটি মুহূর্তে। সেই প্রেরণায় ‘হৃদয়ে রবীন্দ্র ও চেতনায় নজরুল’ শিরোনামে পাঠচক্র করে দিনাজপুর বন্ধুসভা। ২৯ মে বিকেলে প্রথম আলোর দিনাজপুর অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্রের বিষয় ছিল কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কাব্য–সংকলন ‘সঞ্চিতা’।
নজরুলের বিখ্যাত কবিতাগুলো নিয়ে রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ এটি। এখানে তাঁর কালজয়ী কবিতাগুলো রয়েছে। যার নিগূঢ় অর্থ আমাদের মনকে শান্ত করে এবং চেতনাকে জাগ্রত করে। এই গ্রন্থে ৭৮টি কবিতা ও ১৭টি গান রয়েছে। এর মধ্যে ‘বিদ্রোহী’, ‘সর্বহারা’, ‘সাম্যবাদী’, ‘মানুষ’, ‘জীবন–বন্দনা’, ‘খুকী ও কাঠবেরালি’, ‘চল্ চল্ চল্’ প্রভৃতি প্রধান। বন্ধুরা একে একে ‘সঞ্চিতা’র বিখ্যাত কবিতাগুলো পাঠ করেন। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সুম্মা মেসবাহুন।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর প্রথম আলোর প্রতিনিধি শৈশব রাজু। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্র ও নজরুল—দুজনই আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে। তাঁরা এখনো সমানভাবে জনপ্রিয় ও সমাদৃত। আজকাল পাঠ্যবইয়ের মধ্যেই তাঁরা সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু রবীন্দ্র ও নজরুলকে ছাড়া আমাদের হবে না।’
দিনাজপুর বন্ধুসভার সভাপতি শুভ রায় বলেন, ‘রবীন্দ্র-নজরুলের কালজয়ী লেখনীগুলো প্রতি মুহূর্তে আমাদের ন্যায় ও সত্যের পথ দেখায়। আমাদের জীবনবোধের অনন্য উপলব্ধি এবং বাঙালি জাতির অহংকার রবীন্দ্র-নজরুল। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের পথচলার প্রেরণা হয়ে থাকুক।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সুব্রত সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিয়ানা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন সিংহ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শবনম মুস্তারিন, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক দিপু রায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ব্রততী বিশ্বাস, প্রশিক্ষণ সম্পাদক বিপ্লব রায়, কার্যকরী নির্বাহী সদস্য মুনিরা শাহনাজ চৌধুরীসহ অন্য বন্ধুরা।
মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা