বই পড়ার আনন্দ শাশ্বত। বই আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। একজন ভালো বন্ধু যেমন সব সময় পাশে থাকে, ভালো পরামর্শ দেয়, বইও ঠিক তেমনিভাবে একজন পথহারা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারে। বই পড়া জীবনের সবচেয়ে সুন্দর একটি অভ্যাস।
দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরে এ কথা বলেন আলোচকেরা। ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রথম আলোর দিনাজপুর অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত বই ছিল ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা ‘প্যালেসে পানচিনি’।
বইটিতে চয়ন নামে ক্লাস নাইনে পড়ুয়া একটি ছেলের চমৎকার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। মূল ঘটনা হলো—একটি বিয়ের আংটি বদল অনুষ্ঠানকে ঘিরে, যেখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কনের আংটি হারিয়ে যায়। কোটি টাকার আংটি নিরাপত্তাবেষ্টিত প্যালেস থেকে কীভাবে হারিয়ে গেল, সেটা নিয়েই সবার মধ্যে চাপা গুঞ্জন চলতে থাকে। শেষ পর্যায়ে চয়নের চতুরতার মাধ্যমে আংটির সমস্যা সমাধান হয়।
সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘আমরা সবাই নানা কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও একটি বই শেষ করতে পেরেছি। আজকের দিনটি সার্থক বলে মনে করি। আশা করব সবাই নিজের ব্যস্ততার মধ্যেই এভাবেই বইকে সময় দেবেন।’
বন্ধু বিথী রায় বলেন, ‘আগে তেমন বই পড়তাম না। কিন্তু যবে থেকে বন্ধুসভায় যুক্ত হই, পাঠচক্রের বিষয়টা আমাকে বই পড়ার ক্ষেত্রে অনেক অনুপ্রেরণা জোগায়।’
তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা