‘জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে চলমান বিশ্বকোষ বললে খুব একটা অত্যুক্তি করা হয় না। অর্থশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম-সংস্কৃতি—এই সব বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞের মতো মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। সমকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপীঠগুলোর শ্রেষ্ঠ মনীষীদের অনেকেই একবাক্যে তাঁর মেধা ও ধীশক্তির অনন্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই নিভৃতচারী, অনাড়ম্বর জ্ঞানসাধক মানুষ সারা জীবনে কোনো বই রচনা করেননি। সভা-সমিতিতে কথাবার্তা বলারও বিশেষ অভ্যাস তাঁর নেই। তথাপি কৃশকায়, অকৃতদার মানুষটি তাঁর মেধা ও মননশক্তি দিয়ে জাতীয় জীবনের সন্ধিক্ষণ ও সংকটময় মুহূর্তে পথনির্দেশ করেছেন। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, বলতে গেলে, যুগ যুগ ধরেই তরুণ বিদ্যার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে এ কথা বলেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা শফিকুল আলম ও মনোয়ারা খাতুন। ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত বিষয় ছিল আহমদ ছফার লেখা ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইটি।
বক্তারা আরও বলেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন যে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক একজন প্রবাদতুল্য পুরুষ। কিন্তু তাঁর জ্ঞানচর্চার পরিধি কতদূর বিস্তৃত, তিনি ব্যক্তিমানুষটি কেমন, সে বিষয়েও মুষ্টিমেয় কয়েকজনের বাইরে খুব বেশি মানুষের সম্যক ধারণা নেই। তিনি এমন মানুষ ছিলেন, যাঁকে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয় যে তিনি এত জ্ঞান কীভাবে রাখতেন মাথার ভেতর! কীভাবে ঘুমাতেন এত জ্ঞান নিয়ে!
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক আলীউজ্জামান নূর, বইমেলা সম্পাদক ওজিফা খাতুন, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, বন্ধু ফারাহ্ উলফাৎ, মাসরুফা খাতুন, নাজিফা আনজুম, ফাতেমা খাতুন, মরিয়ম মুক্তা, আল মাহমুদ, মঈন আলী, নাফিউল হাসান, মো. মারুফ, সুস্মিতাসহ অন্য বন্ধুরা। পাঠচক্রে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রথম আলোর যক্ষা সচেতনতাবিষয়ক প্রচারণা কর্মসূচির সমন্বয়ক নুরুজ্জামান নাদিম। এ সময় বন্ধুরা তাঁকে ফুলের তোরা দিয়ে বরণ করে নেন।
জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা