রাত যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না, রাত্রি একাকী বসে প্রতীক্ষায় কখন রাত পোহাবে। অন্যদিকে, পেটের গুলির ব্যথায় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে গেরিলা সদস্য আলম। সারা দিনে কোনো ডাক্তার নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। যে সহযোদ্ধা ডাক্তার আনার কথা বলে বের হয়ে গেল, তাকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। মতিন সাহেব ডাক্তার আনতে পারেননি। কারণ, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়। সামান্য আশার আলোর জন্য হয়তো তারা একটি নতুন সকালের অপেক্ষায়।
টান টান উত্তেজনাময় এই বর্ণনাটি নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ উপন্যাসের। ১৯৮৬ সালে এটি প্রকাশিত হয়। ২৪ জানুয়ারি বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে খুলনা বন্ধুসভা। খুলনা সিটি করপোরেশনের শহীদ হাদিস পার্ক শহীদ মিনার বেদিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম শক্তি ছিল গেরিলা যোদ্ধারা। তাঁদের বীরত্বগাথাকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে উপন্যাসটি। পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক জুই আক্তারের সঞ্চালনায় বইটি নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা।
বন্ধু জয়ন্ত গাইন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে উপন্যাসটি লিখেছেন, তা বাঙালি হৃদয়ে দাগ কাটার মতো।’
উপদেষ্টা তারকচাঁদ ঢালী বলেন, কিশোর-কিশোরীদের পাঠে অভ্যস্থ করাতে হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখির অবদান অনস্বীকার্য।
সভাপতি কাজী মাসুদুল আলম বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। এই নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই ভ্রাতৃত্ববোধ এবং শান্তির বাংলাদেশ।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা যুথি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহা. রহমাতুল্লাহ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিতা মাহমুদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক ফারজানা আক্তার, অর্থ সম্পাদক ইমন মিয়া, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক জুই আক্তার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গৌতম রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, ফাহাদ আল শান্ত, বন্ধু আয়শা ইসলাম, শাম্মি আক্তার, অর্ণব মণ্ডল, জীম খাতুন, সজিব দাশসহ অন্য বন্ধুরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা বন্ধুসভা