যক্ষ্মা সচেতনতাবিষয়ক প্রচারণা কর্মশালা

রংপুর অঞ্চলে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

সারা বিশ্বে প্রতিদিন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ। যক্ষ্মায় আক্রান্ত মোট রোগীর দুই-তৃতীয়াংশ যে আট দেশে আছে, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। যক্ষ্মা যে শুধু দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হয়, তা-ও কিন্তু নয়, যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএসএআইডির পৃষ্ঠপোষকতায় আইসিডিডিআরবির পরিচালনায় সারা দেশের ১২টি অঞ্চলে যক্ষ্মা সচেতনতা–বিষয়ক প্রচারণা কর্মশালা আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা। এই কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী বিভাগের আটটি এবং রংপুর বিভাগের চারটি জেলায় প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ২ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয় এবং শেষ হয় ১০ আগস্ট পাবনা ও কুড়িগ্রাম জেলার কর্মশালার মধ্য দিয়ে। বাকি ৯টি জেলা হলো রংপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও নওগাঁ।

বিভিন্ন কর্মশালায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। অথচ অধিকাংশ মানুষের ধারণা, যক্ষ্মা কমে গেছে। বেশসংখ্যক যক্ষ্মারোগীকে শনাক্ত করা যায় না। কারণ, তাঁরা সচেতন নন, আজীবন যক্ষ্মার জীবাণু বহন করেই মারা যান। যক্ষ্মার জীবাণু যে কেবল ফুসফুসকে আক্রান্ত করে তা নয়, এটি মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে, ত্বক, লিভার, অন্ত্র, কিডনি, হাড়সহ দেহের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংক্রমণ হতে পারে।

এই রোগ শনাক্তে, রোগ থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে জনসচেতনতায়। কর্মশালায় অংশ নেওয়া এই তরুণেরাই এ কাজ এগিয়ে নেবেন। তাই প্রথম আলো তরুণদের নিয়ে যক্ষ্মা নির্মূলে এই উদ্যোগ নিয়েছে।