সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সোনালী দুঃখ’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র

মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার পাঠচক্র।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সোনালী দুঃখ’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা। ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় অনলাইনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার বন্ধুদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন চকরিয়া বন্ধুসভার বন্ধুরাও।

৯০০ খ্রিস্টাব্দের ইউরোপের তিনটি রাজ্য কর্নওয়েল, লিওনেস ও আয়ারল্যান্ডের পটভূমি ঘিরে উপন্যাসের গল্প। ত্রিস্তান ও ইসোল্ট-এর অমর প্রেমকাহিনী অবলম্বনে লেখা গল্পই মূলত এই উপন্যাসের ভিত্তি। ‘সোনালী দুঃখ’ বইটি ১৯৯৯ সালে মাটিগন্ধা কতৃর্ক প্রকাশিত হয়।

মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার পাঠচক্র।

মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সামিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় বইটি নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা।

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ত্রিস্তানের জন্মের আগেই পিতার মৃত্যু হয়। যখন তিনি দুনিয়ায় ভূমিষ্ঠ হন, তখন মাকেও হারান। এমন হতভাগা সন্তানের তো দুঃখই হওয়ার কথা। বাবা-মা ও রাজ্য হারানো ছেলেটি একসময় একজন শক্তিশালী যোদ্ধা হয়ে সবার মন জয় করেন। জীবনের আসল দুঃখটা শুরু হয় এরপর থেকেই। এই দুঃখ নামের গুণাগুণ জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত বহন করে গেছেন। দুঃখই যেন তার চিরসাথি ছিল। এই বিষয়টি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় খুব ভালোভাবেই উপস্থাপনা করেছেন।

মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার পাঠচক্র।

‘সোনালী দুঃখ’ মূলত উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ও প্রেমিক-প্রেমিকার নাম। সোনালী হলো শত্রু দেশের এক রাজকুমারীর নাম, যাকে খুঁজতে যেয়ে ত্রিস্তানের জীবন সংকটের মধ্যে পড়ে। বিরত্বের জন্য শত্রু হওয়া স্বত্ত্বেও ত্রিস্তানের সঙ্গে রাজকুমারী সোনালী বিয়ের প্রস্তাব দেন। ‍কিন্তু নিজের করা অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান রেখে পিতৃতুল্য রাজাকে কথা দেওয়ার কারণে সোনালীকে বিয়ে না করে রাজার রানি করার জন্য তাকে নিয়ে আসেন। নদীপথে দূর দেশে আসার সময় সোনালী ও তার হবু স্বামী মার্কের জন্য মায়ের দেওয়া বিশেষ সোরাব অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুজনে পান করে ফেলে। এর ফলে ত্রিস্তান ও সোনালীর মধ্যে এক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতেই গল্পের নতুন মোড় নেয়। মামার জন্য সোনালীকে নিয়ে এলেও দুঃখ এবং সোনালী প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে গোপনে! তাদের মেলামেশা দেখা সাক্ষাৎ সব কিছুই চলমান ছিল আড়ালে।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার বন্ধু রুবেল ফারহিন, উদয় সরকার, লিমা তালুকদার, প্রজ্ঞা চৌধুরী, রাকিব আহমেদ, সামিয়া আক্তার, চৌধুরী নাফিসা, কামরানুল হক, ইউসুফ মাহদী, তাপস শীল, মমতা আক্তার, শেখ সানজিদা রশীদ, তরিকুল ইসলাম, লিমন চৌধুরী, ফাহিম আহমেদ, সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, উত্তম দাস, সাবেক সাধরণ সম্পাদক রুহেল আহমেদ, বৃক্ষবন্ধু শাহ সিকান্দার মোহাম্মদ শাকির, চকরিয়া বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি জাহিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আরমান মোহাম্মদ রাফি, বন্ধু শাহরিয়ার রানা, শাহারাজ খায়রুল, আবু সালেহীন, মোহাম্মদ তালেব, তাহসিন কবির, মোহাম্মদ হোসেন, রাফিয়া সিকদার, জাশেদুল ইসলাম ও আরফাতুল ইসলামসহ আরও অনেকে বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা