জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথম আলো বন্ধুসভার শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি প্রথম আলো বন্ধুসভার শ্রদ্ধাঞ্জলিছবি: দীপু মালাকার

‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।’
গোবিন্দ হালদারের কথা ও আপেল মাহমুদের সুরে রচিত এই গণসংগীতের কথার মতো প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরাও দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের যোদ্ধাদের সব সময় স্মরণ করেন। যে উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্যকে মনেপ্রাণে ধারণ ও লালনে রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বন্ধুরা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ ২৬ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে প্রথম আলো বন্ধুসভা। বেলা ১১টায় জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ, ঢাকা মহানগর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার ও গাজীপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা।
জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, প্রথম আলো বন্ধুসভার অন্যতম ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। বন্ধুসভার বন্ধুরা দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের চেতনাকে ধারণ করে সারা বছর সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। পাশাপাশি যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ, সেই মহান সূর্যসন্তানদের নানাভাবে স্মরণ করেন। আজ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন বন্ধুসভার কার্যক্রম তারই সাক্ষ্য বহন করে।

জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘বন্ধুসভার মাধ্যমে আমরা মহান স্বাধীনতাসংগ্রামের মূল প্রতিপাদ্য সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। দেশের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য রয়েছে, তা যাতে সবাই সঠিকভাবে পালন করে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।’
জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নেওয়াজুল মওলা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে মুক্তিযোদ্ধারা যে উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্যকে লালন ও ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি সাম্য ও মানবিক মর্যাদার দেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য বন্ধুসভার বন্ধুদের কাজ করে যেতে হবে।

পুষ্পাঞ্জলী অর্পন শেষে বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা কতটুকু এগিয়ে যেতে পেরেছে? এমন প্রশ্নে ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার দপ্তর সম্পাদক মেঘা খেতান ও জেন্ডার-সমতাবিষয়ক সম্পাদক শারমিন আরা তিশা জানান, বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরুষদের থেকে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। নারীরা এখন স্বাধীনভাবে চলাফেলা করতে পারে, কর্মক্ষেত্রে নিজের পছন্দমতো যেকোনো পেশা বেছে নিতে পারে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই এই অধিকারগুলো নারীরা পেয়েছে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. রেদোয়ান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সহসভাপতি মাহমুদা মুহসিনা বুশরা, সাধারণ সম্পাদক নাঈমা সুলতানা, অর্থ সম্পাদক অনিক সরকার, বন্ধু মীর মোশাররফ অমি, সৌমেন্দ্র গোস্বামী, তাহসিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি সুমাইয়া জামান, সাধারণ সম্পাদক অনুপ সরকার, সাভার বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শিবলী মোস্তফা, গাজীপুর বন্ধুসভার পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বিজয় মিয়াসহ অন্য বন্ধুরা।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফেরার পথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান বন্ধুরা। সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বন্ধুসভার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বন্ধুসভার যেকোনো কাজে পাশে থাকার চেষ্টা করবেন তিনি।