গাইবান্ধায় বাল্যবিবাহ রোধে বন্ধুসভার উঠান বৈঠক

চরাঞ্চলের অনেক নারী উঠান বৈঠকে আসেন
ছবি: বন্ধুসভা

গাইবান্ধার নদীতীরবর্তী প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি। এসব এলাকায় ১০-১২ বছরের মেয়ে এবং ১৪-১৬ বছরের ছেলেদের বিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। বিশেষত তাদের মা–বাবার ধারণা, বয়স বেশি হলে মেয়েদের বিয়ে হয় না। তাই অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেন। এতে মেয়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

এ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩ নভেম্বর উঠান বৈঠক করেছে গাইবান্ধা বন্ধুসভা। প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘একটি করে ভালো কাজের’ অংশ হিসেবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল কামারজানি ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, গোঘাট, খারজানি, কুন্দেরপাড়াসহ সাতটি স্থানে উঠান বৈঠক করা হয়।

বৈঠকে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা বন্ধুসভার সহসভাপতি জিয়াউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান মাসুদ ও হাসান ইমাম, সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে হাবিবা, অর্থ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আসিফ আকন্দ, প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম ও বন্ধু শিউলি আক্তার।

উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, ‘আপনারা সন্তানদের অল্প বয়সে বিয়ে দেবেন না। নিজেদের ছেলেমেয়েদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। দেখবেন একদিন আপনার সন্তানেরাই সমাজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী কেউ তাদের সন্তানদের বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসনকে জানাবেন।’
বক্তারা বাল্যবিবাহের কুফল তুলে ধরে এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিভাবকদের সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

সাধারণ সম্পাদক, গাইবান্ধা বন্ধুসভা