১৯৯৫ সালে আহমদ ছফার প্রথম প্রকাশিত ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসে গাভির যে বৃত্তান্ত আছে, সেটি সাভার ডেইরি ফার্মে অস্ট্রেলিয়ান ষাঁড় ও সুইডিশ গাভির ক্রসে উৎপাদিত ছিপনৌকার মতো গড়ন, সুন্দর চোখ, উন্নত গ্রীবাবিশিষ্ট একটি গাভি ‘তরনী’।
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র বাংলাদেশের প্রাচীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তরনী হচ্ছে এই উপাচার্য সাহেবের প্রিয় গাভি। মূলত এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। উপাচার্য মিয়া মুহাম্মদ আবু জুনায়েদের কার্যক্রমের মাধ্যমে লেখক আহমদ ছফা সে সময়কার আর্থসামাজিক, পারিবারিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
৯ জুলাই আহমদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে এমসি কলেজ বন্ধুসভা। এদিন বিকেলে কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক দেবব্রত সরকার।
বইটির আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা। বিষয়বস্তু নিয়ে বন্ধু উদয় সরকার বলেন, আহমদ ছফা একটি উপমা ‘গাভী’ দিয়ে তৎকালীন নোংরা রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা খুবই সুন্দর ও ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বন্ধু ও সাবেক সভাপতি আলমগীর ফজল বলেন, ‘এমসি কলেজ বন্ধুসভা শুরু থেকে যেভাবে পাঠচক্র করে আসছে; তারই ধারাবাহিকতা দেখে আনন্দিত হলাম। এ থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবে।’
সবশেষে সভাপতি সুমন মিয়া পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পাঠচক্রের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা উত্তম দাস, সহসভাপতি আজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক লিমা তালুকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফাহাদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক আহমদ হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক অনন্ত সরকার, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক শারমিন লিপি, প্রশিক্ষণ সম্পাদক প্রজ্ঞা চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সানজিদা রশিদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমতা আক্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য চৌধুরী নাফিসা, বন্ধু কামরানুল হক, নাজমিন স্নেহা, কুলসুমা উষা, ফারিহা খান, আবু সাইদ, জীবন বিশ্বাসসহ অন্য বন্ধুরা।
সভাপতি, এমসি কলেজ বন্ধুসভা