‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অনুপম সৃষ্টি

দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অনুপম সৃষ্টি। ২ মার্চ বিকেলে ছোটগল্পটি নিয়ে পাঠের আসর করেছে দিনাজপুর বন্ধুসভা। দিনাজপুর সরকারি কলেজ মাঠে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচয় পর্বের পর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সভাপতি শুভ রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা যাঁরা সংগঠন করি, তাঁদের অন্যদের থেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। সব সময় সাংগঠনিক নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি সময়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যে যত স্বচ্ছ ভাবে চলতে পারবে, তার জীবনে তত স্বচ্ছতা আসবে।’

কবিগুরু কখনো প্রেম-ভালোবাসা, কখনো সমাজব্যবস্থা, কখনো সমাজের মানুষগুলোর সম্পর্ক-বৈচিত্র্য, কখনো প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, কখনোবা অতিপ্রাকৃত বিষয়বস্তু সরস বর্ণনায় নিজের বিভিন্ন গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘হৈমন্তী’ গল্পে তিনি সমকালীন সমাজজীবনের এমন কিছু চিত্র তুলে ধরেছেন, যা আজও সমভাবে বিদ্যমান। মানুষের সম্পর্কজালের মধ্যে বহমান এমন কিছু মুহূর্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, ভাবলে অবাক হতে হয়।

গল্পের সূচনা হৈম তথা হৈমন্তীকে নিয়ে, শেষও তাকে দিয়ে। তার বিয়ে, বিয়ের জন্য তাড়াহুড়া, আইবুড়ো বয়স, ভাবী বউয়ের কল্পনায় হবু বরের ভেতরে তীব্র কৌতূহল, তার হবু শ্বশুরের মোটা অঙ্কের যৌতুকের প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেছেন লেখক। এই গল্পে যৌতুক প্রথার কুফলের চিত্র তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ। তৎকালীন সমাজে যৌতুকপ্রথা যে রীতিগত প্রথা ছিল, তা বর্তমান সমাজব্যবস্থার এই সভ্য যুগেও বিদ্যমান।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিয়ানা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন সিংহ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শবনম মুস্তারিন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব রায়, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক দীপু রায়, দপ্তর সম্পাদক খেয়া রানী, বন্ধু আল আবিক উৎস, ডালিম রায়সহ অন্য বন্ধুরা।

মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা