রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের এক ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও সুরকার। ক্ষণজন্মা এই সাহিত্যিকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁরই রচিত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে জামালপুর বন্ধুসভা। ১০ মে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন বন্ধু রাসেল মিয়া। ‘শেষের কবিতা’র ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘“শেষের কবিতা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো কবিতার বই নয়। এটি একটি কাব্যধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস; যেটিতে স্থান পেয়েছে বেশ কয়েকটি কবিতা। বইটির মূল কাহিনি এক চতুর্ভুজাকার প্রেমকাহিনি বলেই গণ্য করা যায়। অমিত, লাবণ্য, কেতকী এবং শোভনলাল—এই চার চরিত্রের একটি ভালোবাসার গল্প।’
এ ছাড়াও বন্ধুদের আলোচনা থেকে জানতে পারি, অমিত এমন একটি চরিত্র, যার চিন্তাধারা অন্য সবার থেকে আলাদা। সবার মতের বিরুদ্ধে সে তার কথার জাদুতে নিজের যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করে। একদিন হঠাৎ সে বেড়াতে যায় শিলং। সেখানে পরিচয় হয় লাবণ্যের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই অমিতের মনে হয় সে এতদিন থেকে যাকে খুঁজছে সে এই লাবণ্য। ধীরে ধীরে পরিচয় প্রণয়ে পরিণত হয়। তাদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। কিন্তু বাধ সাধে কেতকী, যাকে অমিত একসময় আংটি পরিয়েছিল। এদিকে লাবণ্য পায় শোভনলালের চিঠি। সেই শোভনলাল লাবণ্যকে ভালোবাসতো; কিন্তু লাবণ্য তার ভালোবাসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে মূল উপন্যাস থেকে পড়ে শোনান সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, বন্ধু লামিয়া আক্তার, রওশন বিপ্লবী, পলি নাছির ও বিজয় আহম্মেদ।
পাঠচক্রের শেষভাগে যোগ দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল সাদি। তিনি একসময় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে কাজ করতেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান এবং বন্ধুদের উদ্দেশে সংগঠনসম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সর্বশেষে পাঠচক্রে উপস্থিত সবার জন্য আম ভর্তা ও মুড়ি মাখার আয়োজন করেন পলি নাছির ও রওশন বিপ্লবী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা নাজমুল হাসান, সভাপতি ডা. জাকারিয়া জাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক তাহমিদ সাইফুল্লাহ, জেন্ডার-সমতাবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুন নাইমা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক রাকিবুল হাসান, বইমেলা সম্পাদক তাসকিন মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য জিনেদিন জিদান, বন্ধু রাসেল মিয়া, লামিয়া আক্তার, ফাহিম মোনায়েম, জাহিদুল ইসলাম, সনেট মিয়া, আতিফুর রহমান, ইয়াছানুর ইসলাম, মো. সাব্বির, আবু বকরসহ আরও অনেকে।
বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা