অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে

জাবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ছিলেন বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক ও সমাজসংস্কারক। কবি তাঁর জীবদ্দশায় সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। যা আজও মানুষের মননে প্রভাব বিস্তার করে।

কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ মে বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা ‘অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে’ শিরোনামে আয়োজন করে রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ও বই নিয়ে আড্ডা। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠের আসর শেষে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনা
ছবি: বন্ধুসভা

শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘নৌকাডুবি’ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বইটি নিয়ে আলোচনা করেন সভাপতি সুমাইয়া জামানসহ অন্য বন্ধুরা। পাঠচক্রে ‘নৌকাডুবি’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রমেশ, কমনা, নলীন ও হেমনলিনীর মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে মানবজীবনের জটিলতা ও ভাগ্যের অনিশ্চয়তা তুলে ধরেছেন সেটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পাঠের আসর শেষে শুরু হয় রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনা। গান গেয়ে শোনান জাবি বন্ধুসভার বন্ধু সুমাইয়া সারা, আশিক ধ্রুব, তাজবিদ শান, নওরীন খান, অরিত্র গুহ, অরুপা রহমান ও রিজু তালুকদার। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলে বন্ধুরা মিলে গ্রীষ্মের ফল আমভর্তা খান।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অনুপ সরকার, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক আছিয়া শান্তা, ৫২তম আবর্তনের বন্ধু সেঁজুতি নদী, ইসতিয়াক আহমেদ, পারভেজ মোশাররফ, শ্রেয়শী বিশ্বাস, তাজরীন জান্নাত, রেদোয়ান শিকদার, আয়েশা ফারিনাসহ অন্যরা।

প্রশিক্ষণ সম্পাদক, জাবি বন্ধুসভা