এমসি কলেজ বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘একজন কমলালেবু’
শাহাদুজ্জামানের লেখা ‘একজন কমলালেবু’ বইটির পাঠ মোটামুটি সরলরৈখিকভাবে এগিয়ে গেছে। জীবনানন্দের মা কবি কুসুমকুমারী দাশের সান্নিধ্যে কাটা শৈশব থেকে শুরু করে যৌবনে শোভনা দাশের প্রত্যাখ্যান, স্ত্রী লাবণ্য দাশের গঞ্জনা, চাকরিহীন কলকাতা জীবনের হাহাকার, বরিশাল ফিরে সঙ্গীহীন জীবন, দেশভাগ-পরবর্তী কলকাতার অনিশ্চয়তা পেরিয়ে শেষ জীবনের পরাবাস্তবতার মধ্যে। তাই বলে গতানুগতিক জীবনালেখ্য বা জীবনীগ্রন্থও এটি নয়।
‘একজন কমলালেবু’র নানা জায়গায় কবিতার মোক্ষম কিছু চিত্র তুলে দিয়ে লেখক নির্দেশ করেছেন সেসব কুয়াশাচ্ছন্ন পঙ্ক্তির জীবনানুগ সম্ভাব্য উৎসমূল। লক্ষ করলে বোঝা যাবে বইটিতে তিনটি প্রবাহ সমান্তরালভাবে বয়ে গেছে। এক. জীবনানন্দ দাশের ডায়েরি থেকে পাওয়া ব্যক্তিজীবন। দুই. এর সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর কবিতার গতিপ্রকৃতি ও বাঁকবদল। তিন. অনাবিষ্কৃত (কিংবা অধুনা আবিষ্কৃত ও উপেক্ষিত) গল্প-উপন্যাসের থিমেটিক বিশ্লেষণ।
উপন্যাসটি ‘প্রথমা’ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। বইটি নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর পাঠচক্র করে এমসি কলেজ বন্ধুসভা। সিলেটের এমসি কলেজ শহীদ মিনারে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক দেবব্রত সরকার।
একে একে বন্ধুরা বইটির আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করেন। সভাপতি সুমন মিয়া বলেন, ‘শাহাদুজ্জামান কবি না হতে পারেন, তিনি চলচ্চিত্রবোদ্ধা হিসেবে বোদ্ধা মহলে পরিচিত। হয়তো সে কারণেই চলচ্চিত্র ভাষার সুনিপুণ কিছু প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই বইটির একদম শুরুর পৃষ্ঠা থেকেই। লেখকের সুনিপুণ লেখনীর রূপ “একজন কমলালেবু”।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা তানভির মাহফুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক লিমা তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক রুবেল ফারহিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক প্রজ্ঞা চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য চৌধুরী নাফিসা, বন্ধু মমিনুল হক, রেজাউল করিম, অনূপ দাস, আমিনুল ইসলামসহ অন্য বন্ধুরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক, এমসি কলেজ বন্ধুসভা