মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার চড়ুইভাতি

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুদের সঙ্গে অতিথিরা
ছবি: বন্ধুসভা

চড়ুইভাতি নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছোটবেলার আনন্দময় দিনগুলোর স্মৃতি। পাড়ার খেলার সঙ্গীরা মিলে চাঁদা ওঠানো, একেকজনের বাড়ি থেকে ভিন্ন ভিন্ন উপকরণ নিয়ে রান্নার আয়োজন করা হতো। বাবুর্চি একজন, বাকিরা সবাই তাকে সহযোগিতা করত। আর যারা থাকত, তারা বিভিন্ন ধরনের মজার খেলায় মেতে উঠত।

হারিয়ে যাওয়া সেই স্মৃতিতে কিছু সময়ের জন্য ফিরে যেতে ২৫ নভেম্বর ২০২৩ তেমনই একটি দিন অতিবাহিত করেছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুরা। ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে বন্ধুদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর জহিরুল হক, প্রক্টর প্রফেসর জামাল উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা চৌধুরী, আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শের-ই-আলম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ রায়, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ওয়াদিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, ডাল, মুরগি ভুনা, শুঁটকির ভর্তা, পেঁপের বড়া, ফুলকপির বড়া, বেগুনের ভর্তাসহ হরেক রকমের ভর্তা। খাবার শেষে মিষ্টান্ন হিসেবে ছিল পায়েস। বন্ধুরা নিজ হাতে এগুলো প্রস্তুত করেন। রান্না শেষে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে সবাই খাওয়াদাওয়া করেন।

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর জহিরুল হক তাঁর বক্তব্যে বন্ধুসভাকে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে অভিহিত করেন। গতানুগতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে গিয়ে শুদ্ধ ভাষাচর্চা, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখতে সক্ষম এমন কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দেন। পরবর্তী সময় তিনি বন্ধুসভার বন্ধুদের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।

রান্নার আয়োজন
ছবি: বন্ধুসভা

প্রক্টর প্রফেসর জামাল উদ্দিন সবার উদ্দেশে বলেন, বন্ধুসভার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। এ সময় তিনি বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার নির্মূলে কাজ করার পরামর্শ দেন। পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক ফারজানা বেগমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে বন্ধুসভার সার্বিক কাজ নিয়ে কথা বলেন সভাপতি আলী হায়দার। এরপর বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন উপদেষ্টারা।

শেষে অতিরিক্ত কিছু খাবার একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেন বন্ধুরা। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অন্নপূর্ণা জুঁই ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুদ্রনীল দত্ত। এ ছাড়া উপস্থিতি ছিলেন দপ্তর সম্পাদক সালমান খান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, ম্যাগাজিন সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্না দাস, জয়তুন, মিম, তাফহিম, আবিদা, নাফিসা, মাছুম, করণ, নাদিরা, আশফাক, তামিমা ও অন্য বন্ধুরা।

সভাপতি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা