নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতনের কয়েক দশক পর রংপুর অঞ্চলের রাজস্ব উত্তোলনের দায়িত্ব পড়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে কাজ করা দেবী সিংহের ওপর। করের পরিমাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে স্থানীয় কৃষক-প্রজাদের ওপর। তাঁদের গাছে বেঁধে পেটানো হয়, ঘরবাড়িতে দেওয়া হয় আগুন। লুণ্ঠন করা হয় গবাদিপশু, খাদ্যশস্য। অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পাননি স্থানীয় জমিদার, গ্রামপ্রধান বসুনিয়ারাও।
রংপুর অঞ্চলের সাধারণ কৃষক প্রজা কীভাবে কোম্পানির শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তার বীরত্বগাথা নিয়েই ছিল রংপুর বন্ধুসভার এবারের পাঠচক্রের আসর। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মননরেখার সম্পাদক মিজানুর রহমান নাসিম। ২৬ এপ্রিল বিকেলে প্রথম আলোর রংপুর অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
মিজানুর রহমান নাসিম বলেন, রংপুর বিদ্রোহে নূরলদীন যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা আজও নিপীড়িত মানুষের মধ্যে প্রেরণা জোগায়। নূরলদীনের কণ্ঠস্বর মূলত সাধারণ কৃষক-প্রজারই কণ্ঠস্বর।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে রংপুর বন্ধুসভার সভাপতি সোহেলী চৌধুরী পরবর্তী শনিবার একই বিষয়ের ওপর পাঠ-পর্যালোচনা করার ঘোষণা দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রেহেনা পারভিনসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, রংপুর বন্ধুসভা