জামরুল, আম, কাঁঠাল, লটকন, ফাইন্যা গুলা, ড্রাগন ও আনারস—এসব মৌসুমি ফল শুধু শরীরকে নয়, হৃদয়কেও ভরিয়ে তোলে আনন্দের রসে। সেই আনন্দ পেতে শিশুদের নিয়ে মৌসুমি ফল উৎসব করেছে পটিয়া বন্ধুসভা। ১৯ জুলাই সকালে পটিয়া ক্লাবের মোস্তাফিজুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। এরপর স্থানীয় জেলেপল্লির অর্ধশত শিশুর হাতে মৌসুমি ফলের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। ফল পেয়ে শিশুদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে উচ্ছ্বাস। লেখক ও গবেষক রশীদ এনাম এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও সমাজবদলের শক্তি বলে অভিহিত করেন।
উপদেষ্টা কাজী সোহেল বলেন, ‘প্রথম আলো সব সময় ভালোর সঙ্গে আলোর পথেই হেঁটে চলে। বন্ধুসভার এমন মানবিক কার্যক্রমে পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’
শিক্ষক মাহফুজুল আলম বলেন, আজকের এই শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের হৃদয়ে ভালোবাসা ও মূল্যবোধের বীজ বপন করতে হবে। তবেই প্রকৃত ফলদায়ী সমাজ গড়া সম্ভব।
প্রথম আলো পটিয়া প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক শিশুদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘তোমরা বড় হয়ে কী হতে চাও?’ জবাবে কেউ বলে আর্মি হবে, কেউ শিক্ষক, আবার কেউ জানায় সে পুলিশ হবে।
ফলের পুষ্টিগুণ এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও মননে এর প্রভাব নিয়ে চলে প্রাণবন্ত আলোচনা। বক্তব্য দেন পটিয়া বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি সেলিম রুবেল, সমাজসেবক দিদারুল আলম, পটিয়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা প্রান্ত বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আলম রুবেল, শিক্ষক আরিফ সবুজ, পটিয়া বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র প্রমুখ।
বিশেষ মুহূর্ত তৈরি হয় তখন, যখন নারী উদ্যোক্তা ঋতু নিজ হাতে বানানো কেক উপহার দেন শিশুদের। শেষে সাধারণ সম্পাদক আইরিন সুলতানার হাতে পটিয়া বন্ধুসভার সেরা লেখক বন্ধু পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। উৎসব শেষে প্রথম আলো বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র নিয়ে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি, পটিয়া বন্ধুসভা