সময়ের সাহসী পত্রিকা প্রথম আলো। সত্য প্রকাশে অদম্য। সকালের ঘুম ভাঙে এ পত্রিকার পাতা উল্টিয়ে। স্বাধীন মতপ্রকাশে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাদের বলিষ্ঠ লেখনী। ৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়েছে। টিএসসির মুনীর চৌধুরী অডিটরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্যে বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা মুমিত আল রশিদ বলেন, ‘প্রথম আলো ২৫ বছরের কাব্যঋতু। আমরা টগবগে তারুণ্যের শক্তি নিয়ে চলতে চাই। আমরা এমন একটি জাতির স্বপ্ন দেখি, যারা সংস্কৃতিতে, সভ্যতায়, শিল্পে ও সাহিত্যে উন্নত হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে প্রথম আলো।’ তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা নিয়ে প্রথম আলো তরুণদের সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি গাজী ইমরান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে, নির্যাতিতদের পক্ষে ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে প্রথম আলো সর্বাগ্রে। তাই এটি পাঠকপ্রিয়তায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাংলা গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছে। গত বছর পত্রিকাটির ছাপা কাগজে ৫০ লাখ পাঠক তৈরি হয়েছে। এ বছর গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসে প্রথম আলো দুটি পুরস্কার জয় করে।
আলোচনা পর্ব শেষে বন্ধুসভার বন্ধুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অনুষ্ঠানস্থল প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন অর্পিতা রায়, জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’ আবৃত্তি করেন দপ্তর সম্পাদক মামুন খান। সঞ্চালনা করেন সালমান ফারসি ও জয়শ্রী জয়া।
সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা