মতপার্থক্য ও জীবনদর্শনের সমন্বয় ফুটে উঠেছে ‘বাবলি’ উপন্যাসে

সিলেট বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: রেজাউল হক

‘বাবলি’ বুদ্ধদেব গুহ রচিত একটি উপন্যাস। রোমান্টিক ধারার এ উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালের ১ জানুয়ারি। কিছুদিন আগে এই বই নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়, যার পরিচালক ছিলেন রাজ চক্রবর্তী।

উপন্যাসে লেখক ‘বাবলি’ নামের মেয়ের সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কাহিনি শুরু হয় বাবলি ও অভির ইম্ফল যাত্রা থেকে, যার জাল বিস্তৃত করে রূপ নেয় মিষ্টি প্রেম, ভালোবাসা, রাগ ও অভিমানের গল্পে।

অভি ও বাবলি—দুজনই তথাকথিত বাংলার শিক্ষিত উচ্চসমাজের দুই চরিত্র। দুজনই প্রতিষ্ঠিত এবং যথেষ্ট সাবালক। তাদের চিন্তাধারা একে অপরের থেকে স্বাধীন এবং দুজনই জীবনকে নিজের চোখ দিয়ে দেখতে চায়। বুদ্ধদেব গুহ খুব সহজ ভাষায় বইটির মূল বক্তব্য পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

বইটির নাম ‘বাবলি’ দেওয়া যথাযথ হয়েছে। কারণ, সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে বাবলির মানসিকতা ও তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন এবং উন্নতি ঘটেছে, তা বইটিতে স্পষ্ট। গল্পটিতে ইম্ফল, দিল্লিসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলের প্রকৃতির উল্লেখ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে উপন্যাসটিতে আছে প্রেম, ভালোবাসা, হাস্যরস, দর্শন ও প্রকৃতি।

৩০ আগস্ট বইটি নিয়ে পাঠের আসর করে সিলেট বন্ধুসভা। বিকেলে প্রথম আলো সিলেট অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্রে বইটির প্রকাশকাল, মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু সাজন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বইটি সবার পড়া উচিত। কাহিনি দুজন প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে হলেও দর্শনের অনেক জায়গা আছে। ভালো করে বলতে গেলে জীবনদর্শন আছে। একই বিষয়কে দুজন আলাদাভাবে বিচার করতে পারে। দুজনের মতামতের পার্থক্য থাকতে পারে, একই বিষয়কে দুজন কীভাবে আলাদাভাবে দেখতে পায়, সেটি পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধু সমীর বৈষ্ণব, দেব রায় সৌমেন, রেজাউল হক, ফয়সাল আহমেদ, সূবর্ণা দেব, দীপান্বিতা সেন, সৈনিক বৈষ্ণব, জুনেদ আহমেদ, কৃত্য ছত্রীসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা