পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। এদিন সবার ছুটি থাকলেও পথে বের হলে দেখা যায় অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষকে। জীবিকার টানে প্রতিদিনের মতো তাঁদের কাজে আসতে হয়। এদিন শ্রমিকদের সঙ্গে সময় কাটাতে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন অলিগলিতে হেঁটে বেড়ান বন্ধুসভার বন্ধুরা।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমজীবী মানুষদের সঙ্গে খানিক আড্ডা জোন বন্ধুসভার বন্ধুরা। শ্রমিকদের মিষ্টি খাইয়ে দেন এবং তাঁদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। এ ছাড়া শ্রমিকদের গামছা উপহার দেওয়া হয়।
প্রচণ্ড রোদে ইট ভাঙার স্তুপে দেখা যায় শহীদ উল্ল্যাহ নামের এক শ্রমিককে। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেন। বলেন, ‘আফনারা আইছেন, আমাগো ভালা লাগতেসে।’ জুতা সেলাই করতে করতে গোবিন্দ দাস নামের এক মুচি বন্ধুদের সঙ্গে গল্প জমান। তিনি বলেন, ‘আইজগা কাম বন্ধ রাইখলে খামু কী আমরা?’
এ রকম সাইকেল মেকানিক স্বপন, দিনমজুর আবছার উদ্দিন, বাদাম বিক্রেতা মনির হোসেন, ভাঙারি আবদুস সাত্তার, হকার মো. রাসেল, স্টিল ওয়ার্কশপের শ্রমিক আবদুর রহিমের মতো আরও অনেক শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে গল্প করেন নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা। হঠাৎ বন্ধুদের এমন উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথম আলোর নোয়াখালী অফিসে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা সুমন নূর বলেন, ‘আজ বিভিন্ন জায়গায় ছুটি থাকলেও যাঁরা কায়িক শ্রম করেন, তাঁদের ঠিকই কাজে আসতে দেখেছি; অন্তত আমরা চেষ্টা করব আমাদের বাসায়, আশপাশে যাঁরা কাজ করতে আসেন, তাঁদের স্বীকৃতি ও সম্মান দুটোই দিতে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সহসভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাজকির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আফরিনা ইসলাম, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রুমাইয়া সুলতানা, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রাইসা তাজরিন, কার্যনির্বাহী সদস্য ধ্রুব ভূঁইয়া, সদস্য নাহিদা ইতু, নুসরাত জুই, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা