ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী বীরকন্যা শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১–১৯৩২)। তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩২ সালে পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাবে আক্রমণ চালিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেন। দুর্ভাগ্যবশত ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কায় পরবর্তী সময়ে তিনি পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মোৎসর্গ করেন, তৈরি করে যান বিরল এক ইতিহাস। বাংলার নারী জাগরণের ইতিহাসে প্রীতিলতা এক অনন্য নাম।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছিল বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যুবার্ষিকী। সে উপলক্ষে ৪ অক্টোবর এই মহীয়সী নারীর স্মরণে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘স্মৃতিতে স্মরণে প্রীতিলতা’। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান ক্লাবে প্রীতিলতার ভাস্কর্য পরিদর্শন করতে যান বন্ধুরা।
পরিদর্শনকালে বন্ধু সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘আজ নিজ চোখে ইউরোপিয়ান ক্লাব দেখে গর্ববোধ করছি।’ তাঁর কথার পরিপ্রেক্ষিতে ছোট্ট বন্ধু তাজিম আহমেদ বলে, ‘খুব ভালো লাগছে আজ এখানে এসে। অনেক নতুন বিষয় জেনেছি।’
আরেক বন্ধু আলিফা বলেন, ‘মায়ের মুখে প্রীতিলতার গল্প শুনেছি, ইতিহাস জেনেছি।’
স্মৃতিচারণার একপর্যায়ে বন্ধুরা মিলে প্রীতিলতার ভাস্কর্যসহ আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। সবাই আনন্দের সঙ্গে একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে স্থান পরিষ্কার করেছেন।
সবশেষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা সবাইকে প্রীতিলতার আদর্শ ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আয়োজন সমন্বয়কারী ছিলেন কার্যকরী সদস্য সামিয়া সুলতানা ও অর্থ সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। সহসমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন বন্ধু তোফাজ্জল হোসেন ও তাজরিয়া রশিদ।
সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা