নতুন বন্ধুদের বরণ করে নিল নোবিপ্রবি বন্ধুসভা
নতুন সদস্যরা একটি সংগঠনের প্রাণ। নতুনদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অপার সম্ভাবনা। সংগঠনে যুক্ত হয়ে নিজেদের সম্ভাবনা বিকশিত ও প্রকাশ করার সুযোগ পান তাঁরা। এগিয়ে নিয়ে যান সংগঠনকে। তাই এ বছরও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত হলো একঝাঁক নবীন সদস্য। ২ জুন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের বরণ করে নেয় নোবিপ্রবি বন্ধুসভা।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ক্যাডেট সার্জেন্ট রুমী ভবনে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথম পর্বে আলোচনা, উপহার ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে নবীনদের বরণ করে নেন বন্ধুরা। স্বাগত বক্তব্যে নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সভাপতি আবু রায়হান নতুনদের উদ্দেশে বলেন, ‘নোবিপ্রবি বন্ধুসভার বন্ধুরা সব সময় নিজেদের আলোকিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশ ও সমাজের সেবায় নিয়োজিত রাখতে সচেষ্ট। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করতে সব সময় চেষ্টা করব। নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সঙ্গে তোমাদের যাত্রা শুভ হোক।’
আলোচনা শেষে নবীন সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নোবিপ্রবি বন্ধুসভার ভাঁজপত্র ‘দুর্নিবার’-এর চতুর্থ সংখ্যা। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান পরিবেশন করেন বন্ধু মারুফা মজুমদার, মুশফিক আহমদ, জয় কুমার শর্মা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দে। কবিতা আবৃত্তি করেন কার্যনির্বাহী সদস্য সুবর্ণা ফেরদৌস ও পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নকীবুল হক। সঞ্চালনা করেন সহসভাপতি ইসরাত তারিফা।
অনুভূতি জানিয়ে নবীন বন্ধু শান্ত রায় বলেন, ‘আমি মূলত সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। বন্ধুসভা সম্পর্কে আগে জানতাম না কিছুই। হঠাৎ একদিন এক বন্ধুর সঙ্গে নাটকীয়ভাবে বন্ধুসভার পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ওই পাঠচক্র থেকেই আসলে বন্ধুসভার ভক্ত হয়ে পড়ি। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধুসভায় যুক্ত হওয়ার আগে কয়েকটি পাঠচক্রে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়। প্রতিটি পাঠচক্র সারা দিনের একাডেমিক প্রেশার প্রশমনের মহৌষধ হিসেবে কাজ করেছে। তাই এবার বন্ধুসভার বন্ধু হওয়ার সুযোগ মিস করতে চাইনি।’
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা