মানুষকে সহজেই আপন করে নিতে পারতেন তুষার

কুষ্টিয়া বন্ধুসভার উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত বন্ধু জুবায়ের কবির তুষার স্মরণসভাছবি: বন্ধুসভা

‘জুবায়ের কবির তুষার তারুণ্যকে জয় করেছিল তার ইতিবাচক মানসিকতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে। আমরা একসঙ্গে কুষ্টিয়া, কুমারখালীতে গণিত ও ইন্টারনেট উৎসব করেছি। গাজীপুরের মৌচাকে বন্ধু সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছি। তুষারের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বন্ধুসভা ছাড়াও অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে তরুণদের জাগ্রত করতে পারত। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা শুরু হলেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিত, আজ বাংলাদেশ জিতবে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরত। তুষারের শরীরের মৃত্যু হয়েছে, আদর্শের নয়। তুষার আমাদের মধ্যে বন্ধু হয়ে বেঁচে থাকবে আজীবন।’ কুষ্টিয়া বন্ধুসভার উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত বন্ধু জুবায়ের কবির তুষার স্মরণসভায় এ কথাগুলো বলেন লেখক ও গবেষক ইমাম মেহেদী।

৫ অক্টোবর বিকেলে প্রথম আলোর কুষ্টিয়া অফিসে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম মেহেদী বলেন, ‘প্রকৃতিতে বৃষ্টি হলে তুষার ফেসবুকে মন্তব্য করত “পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বৃষ্টি হয় বাংলাদেশে।” এ রকমই বৃষ্টির দিনে গত ৩ সেপ্টেম্বর তুষারের শরীরকে রেখে এলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থানে। যে গ্রামে তুষার শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছে।’

জুবায়ের কবির তুষার

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান বলেন, ‘আমরা বৃষ্টি দেখতে পছন্দ করি। বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে ভয় পাই। বজ্রপাতে আবার কারও কারও মৃত্যু হয়। তুষার আমাদের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে সৌন্দর্য ছড়াত। কিন্তু হঠাৎ বজ্রপাতে আমরা তাকে হারিয়েছি।’

প্রথম আলোর আঞ্চলিক বিজ্ঞাপন সহযোগী রহুল আমিন স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘তুষার ভাই আমার সিনিয়র ছিলেন। আমি তাঁকে চিনতাম, জানতাম। সংগঠক হিসেবে খুবই দক্ষ মানুষ ছিলেন। মানুষকে সহজেই আপন করে নিতেন।’

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সভাপতি অনিক মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাবিলা নূর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাত আরা ঊষা, প্রমিথ সরকারসহ অন্য বন্ধুরা।

সভাপতি, কুষ্টিয়া বন্ধুসভা