‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র’ নিয়ে ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার পাঠচক্র

পাঠচক্র শেষে বন্ধুরা শপথবাক্য পাঠ করেনছবি: বন্ধুসভা

সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিন। পাশেই চলছে অমর একুশে বইমেলা। এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা লোকে লোকারণ্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এমনই পরিবেশে বিকেলের আলোয় কার্জন হল চত্বরের সবুজ ঘাসে পাঠচক্রের আসর করে ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা। ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই পাঠচক্রের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র’।

শুরুতে সবাই মিলে বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র পাঠ এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা উত্তম রায়। তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভা করতে হলে বন্ধুসভার নীতি ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে। এ জন্য বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র পাঠের বিকল্প নেই।’ এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার বর্তমান নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার পাঠচক্র
ছবি: বন্ধুসভা

ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি সাইদুল হাসান বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন স্থানে পাঠচক্র হলেও উন্মুক্ত ময়দানে আমাদের পাঠচক্র এবারই প্রথম। এতে করে আমাদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির পাশাপাশি বাইরের মানুষজনও বন্ধুসভার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবে।’

আলোচনায় আরও যুক্ত হন জাতীয় পর্ষদের আলাদিন আসাদ, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নাঈমা সুলতানা, সহসভাপতি মাহমুদা বুশরা, সাফিন উজ জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নাজিম সীমান্ত, দপ্তর সম্পাদক মেঘা খেতান, অর্থ সম্পাদক অনিক সরকার, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাহসিন মাজেদ, জেন্ডার-সমতাবিষয়ক সম্পাদক শারমিন আরা তিশা, রংপুর বন্ধুসভার সভাপতি অপূর্ব বড়ুয়া, বন্ধু গাজী আসিফ, আশিকুর রহমান, মোশাররফ অমি, রশিদ এনাম ও তাহসিন আহমেদসহ অন্তত ২৩ জন বন্ধু।

সবশেষে একসঙ্গে বন্ধুসভার শপথবাক্য পাঠ করার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা। পাঠচক্র শেষে মাসিক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোর পরিকল্পনা করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী পাঠচক্রের বিষয় হবে কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের নতুন উপন্যাস ‘কখনো আমার মাকে’। এরপর অমর একুশে বইমেলা পরিদর্শন করেন বন্ধুরা।

সহসভাপতি, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা