নিরাপদ প্রজনন ও অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে পাখির জন্য বাসা তৈরি করে দিয়েছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। প্রথম ধাপে ২২ মে সকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের বড়মাঠের গাছগুলোতে এগুলো তৈরি করে দেন বন্ধুরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ছয়টি স্থানের পাঁচ শতাধিক গাছে পাখির বাসা তৈরির এ কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার কুমিল্লা হাঁড়ি, উপজেলা পরিষদ চত্বর, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, সরকারি কলেজ, বুড়ির বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানের গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া হবে।
বন্ধুরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে নানা প্রজাতির পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। গাছের ডালে বাঁধা মাটির প্রতিটি হাঁড়িতে রয়েছে ছিদ্র। বৃষ্টিতে যাতে এর ভেতরে পানি জমে না থাকে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। হাঁড়িতে আশ্রয় নিলে পাখিরা ঝড়, বৃষ্টি ও রোদ থেকে বাঁচবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল ইসলাম বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব সবার। জীববৈচিত্র্য ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। হাঁড়িগুলো বসানোর মাধ্যমে দেশীয় পাখিরা নিরাপদ আবাসস্থল পাবে। গাছগুলো পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠবে।’
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফেলছি। ফলে পাখি বাসস্থান হারাচ্ছে। পাখি হারিয়ে গেলে জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। প্রাণিকুল রক্ষা করা মানবকল্যাণের জন্যই প্রয়োজন। যার যার অবস্থান থেকে এমন উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই পাখিকুল একটা নিরাপদ আশ্রয় পাবে।’ এ ধরনের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার উপদেষ্টা ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ, প্রথম আলো ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মজিবুর রহমান খান, মাহবুব রায়হান, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মারুফ হাসান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সিয়ামুর রশিদ, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিথিলা আক্তার, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক তপু রায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এবং বন্ধু এন্তাজ আলীসহ অন্যরা।
সাধারণ সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা