জামালপুর বন্ধুসভার সঙ্গে জাতীয় পর্ষদের সাংগঠনিক বৈঠক
জামালপুর বন্ধুসভার সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেছে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ। ২১ অক্টোবর বিকেলে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের সেমিনার রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় পর্ষদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ফিরোজ।
শুরুতে বন্ধুরা মোহাম্মদ আলী ফিরোজকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর তিনি একটি ভালো কাজ, কমিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ, নতুন কমিটির বিষয়ে প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা এবং প্রযুক্তি নিয়ে কর্মশালা আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘কমিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েরা নেতৃত্বের জায়গায় এলে সংগঠন আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। নতুন কমিটির বিষয়ে প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে গঠনমূলক পরিকল্পনা নেওয়া উচিত, যাতে কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যায়।’
পরবর্তী সময়ে জামালপুর বন্ধুসভার দুই ডাক্তার বন্ধু কামরুল ইসলাম ও ফারজানা আক্তার বন্ধুদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কথা বলেন। কামরুল ইসলাম ‘ব্রিদিং’-এর মাধ্যমে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় বলেন, ‘এটি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার একটি চমৎকার প্রক্রিয়া। সঠিকভাবে শ্বাস নেওয়া মানে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্রবেশ করানো, যা আমাদের মানসিক প্রশান্তি, মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে ৫ থেকে ১০ মিনিট গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে।’
ডাক্তার বন্ধু ফারজানা আক্তার বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে কোথাও থেকে ঘুরে এসে ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। গরমে বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে শরীরের ঘাম মুছে ফেলুন, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন, তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন। এই সময়টায় পানিশূন্যতার (ডিহাইড্রেশন) ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে, তবে একসঙ্গে নয়—অল্প অল্প করে বারবার।’
আলোচনা শেষে গান পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাসেল মিয়া, বন্ধু অপসরা পাল, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক মাওয়া খান।
উপদেষ্টা সিফাত আবদুল্লাহ বন্ধুসভার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘মফস্সল এরিয়ার বন্ধুসভাগুলোকে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এখানকার বন্ধুরা সীমিত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করেন, তবু তাঁদের আন্তরিকতা ও পরিশ্রম কোনো অংশে কম নয়। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা পেলে মফস্সল বন্ধুসভাগুলো আরও গতিশীল হবে। জাতীয় পর্যায়ের বড় আয়োজনে বন্ধুসভার বন্ধুরা সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পেলে তাঁরা নিজেদের কাজের প্রতি আরও অনুপ্রাণিত হবে।’
সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাসান সারা বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বন্ধুসভার বিভিন্ন আয়োজন, সেবামূলক কাজ, সামাজিক উদ্যোগ ও পাঠচক্র কার্যক্রমের ধারাবাহিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন।
শেষে সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জাতীয় পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় জামালপুর বন্ধুসভার পক্ষ থেকে বই ও ভাঁজপত্র উপহার দেওয়া হয়।
দপ্তর সম্পাদক, জামালপুর বন্ধুসভা