‘বন্ধুসভার পাঠচক্র, সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো ভালো লাগে’

ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুকথনের ১৬তম পর্ব
ছবি: আনাস খান

প্রথম আলো ভৈরব আঞ্চলিক অফিসে ২৫ আগস্ট রাত আটটায় অনুষ্ঠিত হলো বন্ধুদের গল্প শোনার আয়োজন বন্ধুকথনের ১৬তম পর্ব। সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা।

এবারের পর্বে যুক্ত ছিলেন জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক তানশি নাহার এবং স্বাস্থ্য ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক শাওন দাস। আয়োজনের শুরুতে প্রিয়াংকা সবার উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

তানশি নাহার বলেন, ‘শৈশব থেকেই আমার মধ্যে উপস্থাপনশৈলী ছিল। বন্ধুসভায় এসে সেটার আরও বিকাশ ঘটেছে। আমার সহপাঠী ও বর্তমান সহসভাপতি সানজিদা সিদ্দিকার হাত ধরে ভৈরব বন্ধুসভায় যাত্রা শুরু। বন্ধুসভার পাঠচক্র, সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো খুব ভালো লাগে। উপদেষ্টা সুমাইয়া হামিদ আপুর নির্দেশনায় নাটকে অভিনয় করা ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। বর্তমানে আমি ইডেন মহিলা কলেজে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।’

‘সাত ভাই চম্পা’এবং ‘রোমিও জুলিয়েট’ নাটকে তানশির অভিনয়চর্চা সবখানে ছিল। বিশেষ করে বড় রানি হিসেবেই তোমাকে সবাই বেশি চিনত। কথাগুলো বললেন প্রিয়াংকা।

শাওন দাস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বন্ধুসভা তো আমার প্রাণের সংগঠন। নিভৃতে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করি। আমি পড়ছি নরসিংদী পলিটেকনিক একাডেমিতে মেকানিক্যাল বিভাগে।’

আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে চলছিল তথ্যচিত্র প্রদর্শন। আরও ছিল কুইজ পর্ব। কুইজ পর্বে নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর দেন দুজন। অনেকেই প্রশ্ন করেন সংগঠন করে কী লাভ। তাঁদের উদ্দেশে সঞ্চালক প্রিয়াংকা বলেন, সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িকতা ধারণ করতে শেখায়, আরও শেখায় কীভাবে দেশপ্রেমে নিবেদিত হতে হয়।

আয়োজনটি ভৈরব বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ প্রচারিত হয়। লাইভে সহযোগিতা করেন সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন।

সভাপতি, ভৈরব বন্ধুসভা