বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের দীপ্তিময় অভিষেক ঘটে ২৬ মার্চ। এ এক মহত্তম বিপ্লবের সূচনাক্ষণ। এ দিনেই নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়, যার পরিণতিতে রচিত হয় এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। লাখো প্রাণের অমোঘ বিসর্জনে রঞ্জিত এই দিবস শুধু ইতিহাসের অংশ নয়; এটি এক অবিনশ্বর চেতনার উৎস।
শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে একত্র হন ভৈরব দুর্জয় চত্বরে। যাঁদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ, সেসব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে জাতির এই মহান সূর্যসন্তানদের স্মরণ করা হয়। বন্ধুসভার বন্ধুরা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রাজ, অর্থ সম্পাদক আনাস খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোশারফ রাব্বি, দপ্তর সম্পাদক নূরাইন হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক আহমেদ, সাইফুর রহমান, বন্ধু রিফাত হোসেন ও হাসিবুল হাসান।
বন্ধু রিফাত হোসেন বলেন, ‘২৬ মার্চ শুধু স্বাধীনতার দিন নয়, এটি আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। এই দিন আমাদের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। পাশাপাশি ন্যায়, সততা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণা জোগায়।’
সাধারণ সম্পাদক এরফান হোসেন বলেন, ‘এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা কেবল অর্জনের নয়, এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও চেতনাকে জীবন্ত রাখাও আমাদের দায়িত্ব।’
কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যাঁরা অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের ঋণ শোধ করার একমাত্র উপায় হলো তাঁদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তোলা। আমরা যেন এই চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করি।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে ন্যায় ও মানবিকতার পথে থেকে, দেশের কল্যাণে কাজ করতে এবং নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে সচেষ্ট থাকতে ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা বদ্ধপরিকর। বন্ধুরা মনে করেন, ২৬ মার্চ সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, এই স্বাধীনতা অমূল্য। এর সুরক্ষা ও বিকাশে আমাদের প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করে যেতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা