গাজীপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘সংগঠন ও বাঙালি’
বাঙালির সাংগঠনিক দুর্বলতা বলতে গিয়ে ‘সংগঠন ও বাঙালি’ বইয়ে লেখক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সংগঠন গড়ে তোলাটাই একটা অসাধ্য ব্যাপার। মাঝারি কিংবা কম শক্তির মানুষ দিয়ে এটা হয় না। কারণ, কেউ নিজেকে অন্য কারও থেকে কম মনে করে না। সমকক্ষ বা বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো মানুষ কিছু একটা তৈরি করে তাঁদের ওপর কর্তৃত্ব ফলাবে, এটা তাঁরা মেনে নিতে পারেন না। সবাই মিলে ওই জিনিসকে ধ্বংস করে ফেলেন। এ কারণেই অধিকাংশ সংগঠন শুরু হওয়ার আগেই ঝরে যায়।’
বইটিতে লেখক মূলত বাঙালির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণ এবং সেগুলো থেকে বের হয়ে আসার বিভিন্ন উপায় বর্ণনা করেছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ‘সংগঠন ও বাঙালি’ বইটি নিয়ে পাঠচক্র করেছে গাজীপুর বন্ধুসভা। পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা অধ্যাপক অসীম বিভাকর।
অসীম বিভাকর বলেন, ‘পাঠ কিংবা পাঠচক্রের মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তার জগৎকে সমৃদ্ধ করতে পারি।’ দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে মানুষ মিলেমিশে কাজ করতে শিখেছে, সেই বিষয়গুলো।
পাঠচক্র শেষে বই পড়ার ওপর আগ্রহ তৈরি করতে দুটি ক্যাটাগরিতে রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। লিখিত রিভিউতে বিজয়ী হয়েছেন সহসভাপতি আয়ুবুর রহমান। তাঁকে উপহার হিসেবে ‘শেক্সপিয়ার শ্রেষ্ঠ রচনাসমগ্র’ দেওয়া হয়। আর উপস্থাপনা রিভিউতে বিজয়ী হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক নাঈমা সুলতানা। তিনি উপহার পেয়েছেন ‘১০০ বিজ্ঞানীর জীবনী’ বইটি।
গাজীপুর বন্ধুসভার সভাপতি ইমরান আকন্দ বলেন, ‘বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে এবং পাঠচক্রকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বন্ধুদের উৎসাহ ও অনুপ্রাণিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, গাজীপুর বন্ধুসভা