‘আপনারা এই পাঞ্জাবি দিছেন বইলা আমার আব্বার আর কষ্ট কইরা পাঞ্জাবি কিনে দিতে হইব না। এইবারের ঈদে এই নতুন পাঞ্জাবি পইরা ঘুরতে যামু!’ বলছিল ১০ বছর বয়সী জাহিদ। জাহিদের পরিবারে দৈনন্দিন আয় দিয়েই চলতে হয়। সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই। ঈদে নতুন জামা কিনে দিতে হিমশিম খেতে হতো তার বাবার।
ঈদ হোক আনন্দের, ঈদ হোক সবার। বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আহ্বানে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবারও সিলেটের এমসি কলেজ বন্ধুসভার উদ্যোগে কোমলমতি শিশুদের নতুন রঙিন জামা উপহার দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল এমসি কলেজের পদ্মপুকুর প্রাঙ্গণে ২০ কোমলমতি শিশুর হাতে এসব উপহার তুলে দেন বন্ধুরা।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার শুভাকাঙ্ক্ষী দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভার এই মানবিক আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কোমলমতি শিশুরা নতুন রঙিন জামা পেয়ে যেভাবে আনন্দিত হয়েছে, তা আমাদের আনন্দ ও পরিতৃপ্তি দেয়।’
উপদেষ্টা উত্তম দাস বলেন, বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের ঈদের কেনাকাটার টাকা থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে যেভাবে শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তা একে অন্যের প্রতি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা দেয়।
সভাপতি সুমন মিয়া বলেন, ‘আমরা বন্ধুসভার বন্ধুরা বাঁচি সুন্দর মানসিকতা ও মানবিকতায়। মানবিক মানুষ হতে এমন আরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এমসি কলেজ বন্ধুসভার উপদেষ্টা শৈলেন্দ্র মোহন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উত্তম ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিমা তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক রুবেল ফারহিন, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক দেবব্রত সরকার, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক অনন্ত সরকার, কার্যনির্বাহী সদস্য সামিয়া আক্তার, বর্ষা মল্লিক, বন্ধু মনি দাসসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, এমসি কলেজ বন্ধুসভা