মানবসৃষ্ট কলকারখানা, যানবাহন, গ্যাস-কয়লা পোড়ানো, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা কর্মকাণ্ডের ফলে জলবায়ু আজ হুমকির মুখে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) হাতে নেয়।
২৪ জুন নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে র্যালি ও সমাবেশ করা হয়েছে। নোয়াখালী বন্ধুসভা ও পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (প্রাণ) যৌথ উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দেয়। এখানে বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার, ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ অর্জন করা।
সমাবেশে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ‘সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা’ (আইইপিএমপি) বাতিলেরও দাবি জানানো হয়। এদিন বিকেল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে বন্ধুসভার বন্ধুরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে যাত্রা শুরু করে মুজিব চত্বর ঘুরে নোয়াখালী মুক্তমঞ্চে পৌঁছান। এ সময় ৩০ জন বন্ধু উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা