শওকত আলী রচিত উপন্যাস ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর ও মাসিক সভা করেছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। ২ মে বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক পাওয়া এই লেখকের একেবারে প্রথম না হলেও শুরুর দিকের (১৯৮৪) রচনা এই ঐতিহাসিক উপন্যাস। যে সময়ের ইতিহাস এই গ্রন্থ বর্ণনা করে, তা দ্বাদশ শতাব্দীর বাংলা, যখন বাংলার শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনের রাজত্বকাল প্রায় ক্ষীয়মাণ। তুর্কি মুসলমানরা বখতিয়ার খিলজির নেতৃত্বে একের পর এক নগর জয় করে ক্রমে অগ্রসর হচ্ছে তৎকালীন রাজধানী নদীয়ার দিকে।
উপন্যাসটি জাতে ঐতিহাসিক হলেও ইতিহাস বর্ণনা এর মূল উদ্দেশ্য ছিল না। তৎকালীন সাধারণ নিচু শ্রেণির মানুষ তথা প্রাকৃতজনদের জীবনযাত্রা, জীবনদর্শন এবং তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শত বছরের শোষণ ফুটিয়ে তোলাই ছিল এর অন্যতম উপজীব্য।
সহসভাপতি আলমগীর ইসলাম বলেন, ‘শওকত আলীর “প্রদোষে প্রাকৃতজন” একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। যেখানে তৎকালীন জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংগ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্যামাঙ্গ একজন মৃৎশিল্পী, যার শিল্পপ্রেম ও বিশ্বাস সমাজের ধর্মীয় কুসংস্কার ও শ্রেণিবিভেদের বিরুদ্ধে এক নীরব প্রতিবাদ। ঔপন্যাসিক ধর্ম, সমাজ ও ইতিহাসের সংঘাতে সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা ও আত্মসংঘাত অত্যন্ত দক্ষভাবে চিত্রিত করেছেন।’
পাঠচক্র শেষে মাসিক সভায় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ‘পাখিদের নিরাপদ কৃত্রিম বাসস্থান’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শিহাব, যুগ্ম সম্পাদক রাবেয়া হাসি, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রুদ্র মোহন্ত, প্রচার সম্পাদক আলিফ ইসলাম, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিথিলা আক্তার প্রমুখ।
সহসভাপতি, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা