শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা।

‘অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সমাজসংস্কারক ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। পাশাপাশি একজন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর। ষাটের দশকের একজন প্রতিশ্রুতিময় কবি হিসেবেও পরিচিত তিনি। সমালোচক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবেও রেখেছেন অনবদ্য অবদান। ১৯৭০–এর দশকে টিভি উপস্থাপক হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি আলোকিত মানুষ তৈরির কাজে নিয়োজিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।’

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন বক্তারা। ২৫ জুলাই রাত ৯টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, সাধারণ সম্পাদক মাসরুফা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিউল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আসেফ উৎস ও বন্ধু রামিজ আহমেদ।

বক্তারা বলেন, ‘আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশে একটি অলাভজনক শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি দেশব্যাপী বইপড়া আন্দোলন, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আলোকিত মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করেছেন এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনি মনে করেন, শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ফারহা উলফাৎ রহমান, মো. আসাদুজ্জামান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য আহমেদ ওয়ালিদ, বন্ধু মুশফিক মাহদী, আমিরুল মোমেনীনসহ অন্য বন্ধুরা।

সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা