‘প্রথম আলো বাংলাদেশকে ধারণ করে’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ছবি: বন্ধুসভা

‘ভালোর সাথে প্রথম আলো। ভালোর সাথে আমরা সবাইও আছি। এ ভালোর যে মানদণ্ড রয়েছে, তার বড় অংশজুড়ে রয়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রথম আলো।’

৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বেলা সাড়ে তিনটায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি রাহী হাসান চৌধুরী। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের (হলুদ দল) আহ্বায়ক মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম আলো বাংলাদেশকে ধারণ করে, প্রগতি, সংস্কৃতি ও সমাজকে ধারণ করে; মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে ধারণ করে। আমরাও প্রথম আলোর পক্ষে, তরুণেরাও তাদের পক্ষে। প্রথম আলো এগিয়ে যাক, তরুণেরা এগিয়ে যাক।’

আমন্ত্রিত অতিথিরা
ছবি: বন্ধুসভা

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সিরাজ উদ–দৌল্লাহ বলেন, ‘সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সংবাদপত্র মানুষের পক্ষ হয়ে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে মানুষকে আলোকিত করে। প্রথম আলো সমাজকে আলোকিত করতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে। বন্ধুসভার এ ধরনের আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীতে প্রথম আলো সুস্থ গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ করবে। জাতির পিতার স্বপ্নের আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রথম আলো বড় অবদান রাখবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফেরানোর জন্য প্রথম আলো কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। প্রথম যে আলো, সেটি শেষ পর্যন্ত আলোকিত থাকুক, এটিই প্রত্যাশা। প্রথম আলো বেঁচে থাকুক শত বছর পেরিয়ে আরও শত বছর।’ বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাখন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে প্রথম আলো। দেশ গঠনে যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে, তারা সেটি বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।’

বন্ধুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
ছবি: বন্ধুসভা

আরও বক্তব্য দেন ফলিত রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমন গাঙ্গুলী, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নেয়ামত উল্যাহ ভূঁইয়া, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইফতেখার আরিফ, একই ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম মুশাররাত প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধু রুফাইদা সিদ্দিকী ও ইখলাস বিন সুলতান।

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। গান পরিবেশন করেন নন্দিতা চক্রবর্তী, আহনাফ হাসান, বিশ্ব দে সরকার, পীজা ভদ্র, অনন্যা সিকদার ও সাইরুন্নেসা জুতি। কবিতা আবৃত্তি করেন ফারিয়া আক্তার, তাসফিয়া জাসারাত, রুদ্র তালুকদার, এ আর মাহিম, ডি কে উৎস বিশ্বাস ও আহনাফ হাসান। নৃত্য পরিবেশন করেন আশা তাসকিন, নিশাত সুলতানা, নুসরাত জাহান ও মাহিম। সব শেষে গানে গানে সাংস্কৃতিক আয়োজনের সমাপ্তি হয়। এতে অংশ নেন আলী আকরাম, পপি ভৌমিক, সাজিদ আনোয়ার, আফনান নোহা, নুসরাত জাহান, মাহিম, চয়ন সাহ চেরী, রাহী হাসান, নিশাত সুলতানা, রিয়াজ, তাহসান বিন আজিজুল ও খুশি চৌধুরী।

পরে ছয়টি ক্যাটাগরিতে বন্ধসভার বন্ধুদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত বন্ধুরা হলেন সেরা আহ্বায়ক অর্থ সম্পাদক নুসরাত জাহান, বর্ষসেরা বন্ধু আলী আকরাম, সেরা শিল্পী বন্ধু ফারিয়া আক্তার, সেরা পাঠক বন্ধু নুরুজ্জামান, সেরা লেখক বন্ধু জেসমিন বিনিতে জালাল, সেরা নবীন বন্ধু সাজিদ আনোয়ার। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ছিলেন মাহফুজুর রহমান ও অনিক সরকার। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আদিত্য গোস্বামী।