আকবর আলি খানের লেখা ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রবন্ধমূলক রচনা। অর্থনীতির নানা বাস্তবিক বিষয়কে উদাহরণসহ প্রকাশ করা হয়েছে এখানে। বইটি মোট ১৫টি প্রবন্ধে বিভক্ত এবং প্রতিটি প্রবন্ধই ভিন্নভাবে অর্থনীতি–সম্পর্কিত আলোচনা করে।
লেখক মূলত বোঝাতে চেয়েছেন, আমাদের দেশে এমন অনেক অর্থনীতিবিদ আছেন, যাঁদের অর্থনীতির মানসিকতা কেবল তত্ত্বীয় ও থিওরিকেন্দ্রিক! তাঁরা যদি বাস্তবিকভাবে অর্থনীতিকে তুলে ধরতেন, তাহলে অসংখ্য অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। ইতিহাস বরাবর আশাবাদীদের পক্ষে থাকে এবং হতাশাবাদীদের বিপক্ষে। বিংশ শতাব্দীতে ক্ষমতার মূল উৎস ছিল টাকাপয়সা বা পুঁজি; কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে ক্ষমতার মূল উৎস জ্ঞান। জ্ঞান থাকলে সহজেই উপার্জন করা যায়। অন্য একটি বিষয় হলো, একজন অর্থনীতিবিদ হলেন এমন একজন ব্যক্তি; যিনি মূলত আগামীকাল জানবেন, গতকাল তিনি যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা আজকে কেন ঘটেনি তা উদ্ঘাটন করবেন।
‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইটি ২০০০ সালে দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত হয়। বইটি নিয়ে ১৮ জানুয়ারি পাঠচক্র করেছে এমসি কলেজ বন্ধুসভা। কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সামিয়া আক্তার।
উপস্থিত বন্ধুরা একে একে বইটির আদ্যোপান্ত আলোচনা করেন। বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় কামরানুল হক বলেন, ‘বই পড়ে যতটা না ভালো লাগে, তার চেয়ে ভালো লাগে অন্যের বই রিভিউ শুনে। এটা বই পড়ার প্রতি আরও আকৃষ্ট করে তোলে।’
সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘বই পাঠের যে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসছে এমসি কলেজ বন্ধুসভা, তা বন্ধুদের জ্ঞানভিত্তিক বিকাশ অব্যাহত রাখবে।’
পাঠচক্রে সেরা পাঠক নির্বাচিত হয়েছেন প্রশিক্ষণ সম্পাদক চৌধুরী নাফিসা। তাঁকে উপহার হিসেবে বই তুলে দেন সাবেক সভাপতি তানভীর মাহফুজ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি সুমন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লিমা তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবব্রত সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ হাসান, সানজিদা রশীদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আবু সাঈদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক অনুপ দাস, বইমেলা সম্পাদক বদরুল আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বর্ষা মল্লিকসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, এমসি কলেজ বন্ধুসভা