‘প্রথম আলো শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবার কথা তুলে ধরে’

কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের হলরুমে প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানছবি: বন্ধুসভা

‘প্রথম আলো শুধু একটি ছাপা কাগজ নয়, এটি একটি পাঠশালা। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন প্রথম আলোর কাছে শিখি। চারদিকের হাজারো বাধা উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল থেকেও টিকে আছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মী ও পাঠকদের জন্য সত্য তথ্য প্রচারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলছে।’

প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ। ৫ নভেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা।

‘জেগেছে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলো প্রতিনিধি সফি খান। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। একই সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কুড়িগ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাসিবুর রহমান হাসিব, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, প্রথম আলো বর্ষসেরা পাঠক সামিউল হক, পাঠাগার আন্দোলনের পলাশ রায় ও জয়নাল আবেদীন।

বক্তারা বলেন, ‘সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি পত্রিকাটি অসহায় মানুষের পাশে থেকে নতুন জীবনের আলো দেখায়। এ জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল প্রথম আলো। প্রথম আলোর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’ পাশাপাশি সত্যে তথ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মকভাবে পত্রিকাটির পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।

পাঠক সামিউল হক বলেন, প্রথম আলো বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম আলো সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করে। প্রথম আলো শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবার কথা তুলে ধরে। পত্রিকাটি জন্মলগ্ন থেকে সাহসিকতার সঙ্গে মাদক, কুসংস্কার, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে জনগণের আস্থার জায়গা অর্জন করেছে।

সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার সহসভাপতি সিরাতুল জান্নাত বলেন, ‘প্রথম আলো সত্য তথ্য প্রকাশে কখনো আপস করেনি। আপনারা পাঠকেরা আমাদের শক্তি। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকলে আমরা সত্যে তথ্যে শতবর্ষ পালন করতে চাই।’

বন্ধু, কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা