যুগে যুগে সত্যের পথে বিভিন্ন বিপ্লবে কিছু অমর রচনা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। তারই একটি অনন্য উদাহরণ জহির রায়হানের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনভিত্তিক জনপ্রিয় উপন্যাস ‘আরেক ফাল্গুন’। প্রেক্ষাপট ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে হেঁটে প্রতীকী প্রতিবাদ করে, ভাষা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কারণে গণগ্রেপ্তার ঘটে। প্রেম থেকে প্রণয় ও বিচ্ছেদ, প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষার বিষাদময় প্রহর।
গল্পের মূল চরিত্র মুনিম ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলের জন্য এমন ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে তার প্রিয়জন ডলিও তাকে ছেড়ে চলে যায়। অন্যদিকে সালামার স্বামী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দুই হাত হারিয়ে কারাবন্দী হন। তার অপেক্ষায় প্রতিনিয়ত প্রহর গুনে সালমা। উপন্যাসটিতে কবি রসুলের প্রতিবাদী কণ্ঠে উচ্চারণ হয়, ‘জেলখানা আরও বাড়ান, সাহেব। আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব।’ এ ছাড়া আসাদ, বজলে হোসেন, মাহমুদ, আমেনা, রেনু, বানু, নিলাসহ সব কটি চরিত্রের মাধ্যমেই সংগ্রামের সঙ্গে রোমান্টিকতার সম্পর্কগুলো চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
১৮ অক্টোবর বিকেলে উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসরে বসেন ময়মনসিংহ বন্ধুসভার বন্ধুরা। ময়মনসিংহ নগরীর বিজিবি পার্কে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক।
সভাপতি নাহিদ মন্ডল বলেন, ‘“আরেক ফাল্গুন” উপন্যাসটি প্রতিটি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। এখন পর্যন্ত সংঘটিত হওয়া প্রতিটি সংগ্রামে আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাই।’
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক এহতেশাম বিন অর্পণ, কার্যনির্বাহী সদস্য সালেহীন রিফাত, হিমেল মাহমুদসহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা