জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আহ্বানে সারা দেশে চলছে ‘সহমর্মিতার ঈদ: একটি বন্ধুসভা উদ্যোগ’ কার্যক্রম। তারই ধারাবাহিকতায় পটিয়া বন্ধুসভার উদ্যোগে ২৫ মার্চ দুই পর্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রথম পর্বে ৬৮টি শিশু, ২০ জন অসচ্ছল মানুষসহ মোট ৮৮ জনকে ঈদ উপহার ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। সাধারণ সম্পাদক আইরিন সুলতানার সঞ্চালনায় বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা আবদুর রাজ্জাক, সাবেক সভাপতি প্রান্ত বড়ুয়া, সহসভাপতি শচীন দে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম রিজুয়ান।
ঈদ উপহার পেয়ে কিডনি রোগী নুরুল করিম বলেন, ‘সপ্তাহে তিন দিন আমার ডায়ালাইসিস করতে হয়। দুই মেয়েকে এখনো কাপড় কিনে দিতে পারিনি। আপনাদের এই উপহারে আমার মেয়ের ঈদ হবে।’
পটিয়ার স্টেশন রোডে ভিক্ষা করা এক নারী ঈদ উপহার পেয়ে বলেন, ‘আল্লাহ তোয়ারারে বউত ভালো রাখুক। আই এগিন পাইয়ারি বউত খুশি অইছি।’
রিকশাচালক জালাল বলেন, ‘পটিয়া বন্ধুসভার লাই আই দোয়া চাই। এই উপহার ও খাদ্য আমার বউত দিন যাইব।’
দ্বিতীয় পর্বে বন্ধুরা পটিয়া পৌরসভার শেয়ানপড়ায় হাজী আবদুল খালেক আমিরিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার অর্ধশত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যময় ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবদুর রাজ্জাক দেশব্যাপী বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ কার্যক্রমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। উপদেষ্টা কাজী সোহেলও পটিয়ার বন্ধুসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
পরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনছারুল্লাহর তত্ত্বাবধানে মোনাজাতের মাধ্যমে সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার শেষ হয়। মোনাজাতে প্রথম আলো বন্ধুসভার এই উদ্যোগের জন্য দোয়া করা হয়।
দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন পটিয়া বন্ধুসভার যুগ্ম সম্পাদক সুফি মোহাম্মদ রেজা, তৌহিদুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাইদ হোসেন, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক তানাস চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহবুবা হোসেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক তাউসিফ রেজা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাকিবুল ইসলাম, আহনাফ হাসনাইনসহ আরও অনেকে।